কলকাতা ব্যুরো: অপরাধ বেড়েই চলেছে শহরে। সাধারণ অপরাধের পাশাপাশি কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে সাইবার অপরাধও। এর সঙ্গে চাঙ্গা হচ্ছে অনলাইন এক্সটরশন বা হানি ট্রাপের ফাঁদ। এতে একবার পা ফেললেই খোয়াতে পারেন লক্ষ লক্ষ টাকা। কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত বেশ কয়েকটি থানায় ইতিমধ্যে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তরফ থেকে শহরবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাইবার) বিদিশা কলিতা বলেন, দিন কয়েক আগে সম্ভবত শহরে নতুন প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল বিদেশি সাইবার দস্যুরা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অনলাইন এক্সটরশন বা হানি ট্রাপে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে তার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
জানা গিয়েছে, অনেকের ফেসবুকে একাধিক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসছে। বিভিন্ন সুন্দরী মহিলার মুখ এবং স্বল্পবসনা মহিলার ছবি দিয়ে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠানো হচ্ছে। এই অনুরোধ গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে শুরু খেলা। প্রথমেই তার সঙ্গে চ্যাট করার জন্য ফেসবুকে রিকোয়েস্ট আসবে। দিন কয়েকের কথাবার্তাতেই মানুষকে আপন করে নেওয়ার চেষ্টা করে এই সাইবার দস্যুরা। পরবর্তী ধাপে ভিডিয়ো কলিংয়ের মাধ্যমে শুরু হয় গোপন ছবি দেখানোর খেলা। যখন গোপন অন্তরঙ্গ ভিডিয়ো আদান-প্রদান হয়, ঠিক সেই সময় দস্যুরা লুকিয়ে সেই ছবিগুলি ক্যাপচার করে নেয়।
এরপর বিভিন্ন অছিলায় ওই ভিডিয়ো, ছবি দেখিয়ে চলে ব্ল্যাকমেলিং। টাকা না দিলে সেই ছবি সরাসরি পৌঁছে যাবে গৃহস্থ পরিবারে, এমন অভিযোগও আছে ভূরি ভূরি। বাধ্য হয়ে মানুষ টাকা দিচ্ছে আর সর্বস্বান্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা জানান, এই প্রকারের কোনও ফেসবুক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেলে, তা যেন অবিলম্বে ডিলিট করে দেওয়া হয় বা ব্লক করা হয়। কোনও ভাবে প্রতারণার ফাঁদে মানুষ যেন নিজেকে না জড়ায়। আর ভুলবশত এই ফাঁদে পা দিয়ে ফেললেও পুলিশের কাছে যেতে যেন সংকোচ বোধ না করেন তাঁরা।