কলকাতা ব্যুরো: এবার কি কলকাতাতেও ঢুকে পড়লো করোনার নয়া স্ট্রেন ‘ওমিক্রন’? এবার কোভিড পজিটিভ হয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে নামলেন ব্রিটেন ফেরত এক তরুণী। বিমানবন্দরে তাঁর করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তরুণীকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে RNA পরীক্ষা করা হবে ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। তারপর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য তা পাঠানো হবে বলে খবর। বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে কলকাতায়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ব্রিটেন থেকে কাতার হয়ে দমদম বিমানবন্দরে নেমেছেন বছর আঠারোর তরুণী। বিমানবন্দরে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করার পরই রিপোর্ট আসে করোনা পজিটিভ। এরপর তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। যেহেতু এই সরকারি হাসপাতালে ওমিক্রন আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে, তাই এখানকার আইসোলেশন ওয়ার্ডে তরুণীকে ভরতি নেওয়া হয়েছে। তাঁর চিকিৎসায় আইডি-র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ কৌশিক চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি টিমও গঠন করা হয়েছে, যাঁরা আগামী ৭ দিন তরুণীকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন।
তবে ব্রিটেন ফেরত এই তরুণীর শরীরে ওমিক্রনই বাসা বেঁধেছে কি না, তা জানা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাঁর নমুনা RNA পরীক্ষার জন্য প্রথমে ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হবে। সেই রিপোর্ট আবার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য যাবে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে। সেখান থেকে দিন সাতেক পর জিনোম পরীক্ষার রিপোর্ট আসবে। তারপরই বোঝা যাবে, তরুণী ওমিক্রন আক্রান্ত কি না। ততদিন তাঁকে সম্পূর্ণ আইসোলেশনে রেখে পর্যবেক্ষণ করবেন চিকিৎসকরা।
যদি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলাফলে ওমিক্রন ধরা পড়ে, তাহলে ব্রিটেন ফেরত আলিপুরের বাসিন্দা এই তরুণীই হবেন রাজ্যের প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত। সেক্ষেত্রে গত ৬ মাসের মধ্যে বিদেশ থেকে কলকাতা ফেরত কোনও যাত্রীর শরীরে মিলল করোনা।
বিমানবন্দরে এই ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রীমহলে। গোটা চত্বর স্যানিটাইজ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যপরীক্ষায় আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা মেনেই সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে খবর স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে।