কলকাতা ব্যুরো: বৈঠক হলেও পাহাড় নিয়ে জটিলতা কাটার ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া গেল না মঙ্গলবার। এদিন বিকেলে নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন চেয়ারম্যান বিনয় তামাং ও আনীত থাপা বৈঠক শেষে গোর্খা ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিনয়দের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিমলের প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে কোন কথাই হয়নি।
একই সঙ্গে বিনয় এর বক্তব্য, বিমল গুরুং একাধিক খুনসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত। ফলে তার সম্পর্কে কথা বলার মতো কোন জায়গায় নেই।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে খুব একটা মুখ খোলেননি বিনয়রা। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও রাজ্যের তরফে ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস এবং মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন জিটিএর সচিব সুরেন্দ্র গুপ্তা। কিন্তু সরকারের তরফে এই বৈঠক নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি কেউ।
দুর্গা পুজোর আগে বিমল গুরুংয়ের তিন বছর পর হঠাৎ কলকাতায় আগমন এবং তাকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে। সে ব্যাপারে এদিন স্পষ্ট কিছু কোন পক্ষই জানায়নি। বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে বিমল তৃণমূলে হাত ধরায় আগামী বিধানসভায় এটা নতুন সমীকরণ বলে অনেকেই নিশ্চিত। শুধু পাহাড়ে তিনটি বিধানসভায় নয়, ডুয়ার্সের অন্তত আটটি বিধানসভায় গোর্খা ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর। সেই আসনগুলোতে জয় পেতে বিমল অনেক কার্যকর বলে মনে করে তৃণমূলের একাংশ। তৃণমূলের ভোট পরামর্শদাতা কর্পোরেট টিমের পক্ষ থেকে চেষ্টা হয়েছে তাই বিমলকে কাছে টানতে। কিন্তু তাতে তৃণমূল সম্পর্কে অন্যত্র ধারণা নেতিবাচক হবে কিনা তা নিয়েও জল্পনা কিন্তু রয়ে গেল।
এদিন গোটা বিষয়টা নিয়ে নিজের নিজের মতো করে মন্তব্য করেছেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য ও সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।