কলকাতা ব্যুরো: বিহারে আদতে এন ডি এ জোট সরকার গড়ার নিশ্চিত করল। যদিও একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে লালু যাদবের আরজেডি। বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে। এনডিএ ১২৫ আসন দখল করেছে। যেখানে সরকার গড়তে ম্যাজিক ফিগার ১২২। মহা গঠ বন্ধন ১১০ টি আসন দখল করেছে। বিজেপি ৭৪ টি আসন এককভাবে দখল করলেও, আরজেডি ৭৫ টি আসন নিজেদের দখলে নিয়ে এবার বৃহত্তর দল হিসেবে সবার উপরে জায়গা করে নিয়েছে। নীতিশ কুমারের জে ডি ইউ গত বিধানসভা ভোটে ৭১ টি আসন দখল করেছিল। এবার সেই সংখ্যাটা নেমে এসেছে ৪৩ এ। কংগ্রেস ১৯ এবং সিপিআইএম এল ১২ টি আসন দখল করেছে।
মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বিজেপি বলে এসেছে, বিহারে ফল যাই হোক, যদি এনডিএ ক্ষমতায় আসে সে ক্ষেত্রে নীতীশ কুমারই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ৭৪ আসন দখল করা বিজেপি ৪৩ আসনে জয়ী নিতিশ কুমারকে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর কুর্শি ছেড়ে দেবে কিনা, এবার সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিহারে জয় নিশ্চিত বুঝতে পারার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই বিজেপির প্রথম সারির নেতারা দিল্লিতে সদর দপ্তরে ছিলেন। রাতের দিকে সেখানে আসার কথা ছিল সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার।
জানা যায়, আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দলের সদর দপ্তর থেকেই তিনি ধন্যবাদ জানাবেন বিহার বাসীকে। কিন্তু এরইমধ্যে ফল গণনা আরো এগোতেই ধরা পড়ে জেএনইউ আটকে গিয়েছে মাত্র ৪৩ এ। বিজেপি ৭৪ থেকে আরো বাড়ছে কিনা বেশি রাত পর্যন্ত তা নিশ্চিত হয়নি। এরই মধ্যে যে নেতারা বিজেপির দপ্তরে ছিলেন সন্ধ্যে থেকে, তারাও একে একে বিদায় নেন রাত বাড়তেই। তারপর থেকে শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় বিহারবাসীকে বিজেপি ধন্যবাদ জানানো ছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে আর কেউ কোনো রকম উচ্চবাচ্য করেননি।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার জন্যই বিভিন্ন বিভিন্ন দল যুক্ত হয় জোটে। যেভাবে কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও বিজেপি বিহারে এতদিন একা চলার কোনো চেষ্টাই করেনি। একইভাবে নিতিশ কুমার ২০১৫ এ ক্ষমতা দখল করলেও পরে সেই জোট ভেঙে বিজেপির সঙ্গে চলে যান। ফলে ৭৪ আসন পাওয়া বিজেপি, ৪৩ পাওয়া নিতিশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করবে কিনা তা নিয়া এখন জল্পনা জারি রয়েছে। আবার নিতিশ কুমার তৃতীয় দল হিসেবে ক্ষমতায় এসে, মুখ্যমন্ত্রী পদে বসলেও, বিজেপি তাকে কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেবে সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।