কলকাতা ব্যুরো: ফের কলকাতায় খোঁজ মিললো ভুয়ো কল সেন্টারের। টাওয়ার বসানোর নামে এবার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। ঘটনায় ইতিমধ্যে শেক্সপিয়র সরণি থেকে গ্রেপ্তার ন’জন প্রতারক। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

পুলিশ খবর পায়, বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির প্রতিনিধি সেজে অনেককেই ফোন করা হয়। টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। টাওয়ার বসানোর বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা এবং পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে বলেও জানানো হত। তবে যাঁরা টাওয়ার বসাতে চাইতেন তাঁদের সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসাবে কিছু টাকা জমা রাখতে হবে বলে জানানো হত। এভাবেই প্রতারকরা একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কোটি কোটি টাকাও নেয়।

গোপন সূত্রে প্রতারণা চক্রের খোঁজ পায় পুলিশ। সেই অনুযায়ী, শেক্সপিয়র সরণির একটি বহুতলেক তৃতীয় তলে হানা দেন তদন্তকারীরা। ওই ভুয়ো কলসেন্টারে পর্দাফাঁস করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় ৯ জনকে। তাদের কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ, ৯টি মোবাইল ফোন, ২ ল্যান্ড ফোন এবং কিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪১৯, ৪২০, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার মধ্য কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট এলাকা, বউবাজার এলাকা ও শেক্সপিয়র থানা এলাকার তিনটি অফিসে চলে সিআইডির তল্লাশি। মোট ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উদ্ধার হয় একটি বিলাসবহুল গাড়িও। ওই অফিসগুলি থেকে প্রচুর ভুয়ো নথিপত্র, নোটবুক, রেজিস্টার খাতা, ডায়েরি, ভাড়া ও লিজের চুক্তিপত্র, বেশ কিছু মোবাইল, সিম কার্ড, ল্যাপটপ উদ্ধার হয়। ওই ভুয়ো কল সেন্টারগুলি থেকে ২০ জনকে গ্রেপ্তার হয়। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আবার ভুয়ো কলসেন্টারের পর্দাফাঁস।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version