কলকাতা ব্যুরো: সেনা পরিচালিত জম্মু বিমানবন্দরে ড্রোন হামলার পর থেকেই জারি তল্লাশি অভিযান। ইতিমধ্যে ভূস্বর্গের বুকে একাধিক ঘটনার তল্লাশিতে নামে এআইএ। এপর্যন্ত ভূস্বর্গে একাধিক জায়গায় তদন্ত শুরু করেছে এনআইএর দল। এমন পরিস্থিতিতে জামাত সদস্যদের বাড়িতে রবিবার হানা দিলো এনআইএর একটি দল। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রায় ১৪ টি জেলায় এদিন হানা দেয় এনআইএ।
রবিবার খুব সকাল থেকেই এই রুদ্ধশ্বাস তল্লাশি অভিযানে নামে জাতীয় তদন্তকারী দল। জম্মু ও কাশ্মীরের বুকে প্রায় ১৪ টি জেলায় পর পর লোকেশনে হানা দিতে শুরু করেছে এনআইএ। আর সেখানেই এক জামাত সদস্যদের বাড়িতে এনআইএ ইতিমধ্যেই রুদ্ধশ্বাস তল্লাশি শুরু করে। ১৪ টি জেলার প্রায় ৪৫ টি লোকেশনে এদিন তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। তারই মাঝে জামাত ই ইসলামির সদস্যদের একাধিক বাড়িতে এদিন পর পর তল্লাশি অভিযান চালালো এনআইএ।
প্রসঙ্গত, জামাত সহ একাধিক গোষ্ঠীকে বহু আগেই ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৯ সালে জামাত ই ইসলামি সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। বহুদিন ধরেই এই সংগঠনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানপন্থী মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এর আগে মূলত সন্ত্রাসপন্থী ও পাকিস্তানের প্রচারের সরঞ্জামই বহু জামাত ই ইসলামি সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন তল্লাশি অভিযানের মাঝে। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্যের অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে শনিবারই দিল্লি থেকে এআইএর একটি হাই প্রোফাইল টিম শ্রীনগরের উদ্দেশে উড়ে যায়। জানা গিয়েছে, শ্রীনগরে যাঁরা পৌঁছেছেন এনআইএর সেই টিমে, উচ্চ পর্যায়ের ডিআইজি পদাধিকারী ব্যক্তিরা রয়েছেন। তল্লাশি অভিযানের আগেই এঁরা উড়ে গিয়েছেন কাশ্মীরের উদ্দেশে। জানা গিয়েছে কাশ্মীরের শ্রীনগর, বুদগাম, গান্দেরবাল, বারামুল্লাহ. কুপওয়ারা, বান্দিপোরা, অনন্তনাগ,শোপিয়ান, কুলগাম, পুলওয়ামা, কিশতোয়ার রজৌরির মতো এলাকায় চলেছে হাইভোল্টেজ তল্লাশি অভিযান।