কলকাতা ব্যুরো : ঘরবন্দী অবস্থা বাঙালি মধ্যবিত্তের। ইট, কাঠ, ধুলোবালির শহর ছেড়ে প্রকৃতির একটু নিঃশ্বাস নিতে প্রত্যেকবারই বাঙালি বেরিয়ে পড়ে পুজোয়। এবারে তা সম্ভব হয়নি করোণা হানায়। পুজোর বেড়ানো ভেস্তে গেছে বাঙালির। বাকি আছে বড়দিন। বড়দিন আর নতুন বছরে গোয়া সেজে উঠবে। মান্ডবী নদীতে ক্রুজ অথবা ক্যালাঙ্গুতে বা কোলভা বীচে সমুদ্র স্নান হাতছানি দিচ্ছে ভ্রমণপিপাসু বাঙালিকে। আর সেই জন্য গোয়া টুরিজম নিয়ে এসেছে নতুন সব ব্যবস্থা। গোয়া ঘোরা ও হবে আবার করোনা কেও আটকানো যাবে। শুধু একবার চোখ বুলিয়ে নিতে হবে গোয়া ট্যুরিজমের নতুন পলিসি তে। গোয়ার ইতিহাস, কৃষ্টি, সৌন্দর্য সংস্কৃতি সহ সামগ্রিক ক্ষেত্রের স্বাদ পেয়ে যাবেন। গোয়া কে উপভোগ করবেন সম্পূর্ণরূপে।

পর্যটন দফতর সূত্র থেকে জানানো হয়েছে গোয়া টুরিজমকে মার্কেট ফ্রেন্ডলি করতে এই নতুন নিয়ম নীতি চালু করা হলো। গোয়ার সমস্ত আকর্ষণীয় সংস্কৃতিক স্থানগুলি তুলে ধরা হয়েছে এই নতুন পলিসিতে। একইসঙ্গে নির্ভরযোগ্য, দ্রুত, সস্তা এবং আরামদায়ক পরিবহন পরিষেবা নিয়েও তথ্য দেওয়া হয়েছে এখানে। অতিপরিচিত সমুদ্রতট গুলি থেকে একটু দূরে জঙ্গল, ইকো ট্যুরিজম এর উপর বেশি নজর থাকছে গোয়া ট্যুরিজমের। গোয়ার ঐতিহ্যশালী স্থানগুলি এবং উপকূলবর্তী এলাকা ও ঘুরে দেখে নিতে পারেন।

পর্যটন দপ্তর থেকে খবর আগামী চার বছর গোয়াকে পর্যটন স্থান হিসেবে জনপ্রিয় করে তোলা এবং মানুষকে গোয়ার প্রতি আকর্ষিত করার জন্য পর্যটন দপ্তর এবার থেকে কাজ করবে। বিস্তৃত পরিসরে যাতে গোয়া কে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা চিনে নিতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে গোয়া টুরিজম নতুন কিছু নিয়ে আসতে চলেছে। নতুন পর্যটন স্থান গড়ে ওঠার পাশাপাশি মানুষের কর্মসংস্থানের উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র গোয়া নয় আশপাশের রাজ্যের মানুষ যেন কাজে যোগ দিতে পারেন তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে গোয়া টুরিজম থেকে।

করোনা থাকলেও গোয়ার বিখ্যাত বড়দিন এবং নতুন বছরের উৎসব যাতে নিশ্চিন্তে করো না বিধি এবং দূরত্ব বিধি মেনে হতে পারে তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ট্যুরিজম এর পক্ষ থেকে। মানুষের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে স্থানীয় প্রশাসন এবং চার্চ গুলির তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version