কলকাতা ব্যুরো: মুম্বইয়ে ক্রুজ শিপ মাদক মামলায় আটক ১১ জনের মধ্যে ৩ জনকে ছেড়ে দিয়েছিল এনসিবি। আর এতে বিজেপির যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ। বাকিদের বাদ দিয়ে ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এনসিবির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি-এর মুখপাত্র নবাব মালিক। শনিবার সাংবাদিকদের তিনি একটি ভিডিয়ো দেখান। সেখানে তিনি ছেড়ে দেওয়া ৩ জনের মধ্যে প্রথমে ঋষভ সচদেবের নাম উল্লেখ করেন।

এনসিপি নেতা জানান, ঋষভ বিজেপির যুব মোর্চার অধ্যক্ষ মোহিত কম্বোজ ওরফে মোহিত ভারতীর শালা। সেখানে মোহিতের সঙ্গে ঋষভের ছবিও দেখানো হয়। এনসিবি ঋষভকে ছেড়ে দেওয়ার সময়, তাঁর সঙ্গে তাঁর বাবা ছিলেন ৷ বাকি দু’জন প্রতীক গাভা, আমির ফার্নিচারওয়ালা। এঁদের দু’জনের আমন্ত্রণেই আরিয়ান খান ওই ক্রুজ শিপে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন নবাব মালিক। এমনকি কোর্টে মামলার শুনানির সময়েও ওই ৩ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে, জানান মন্ত্রী। অথচ ২ ঘণ্টার মধ্যে ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে এনসিবি-বিজেপি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন তিনি।

তিনি আরও জানান, ক্রুজ শিপে তল্লাশি চালানোর দিন সমীর ওয়াংখেড়ে সাংবাদিকদের জানান যে ৮-১০ জনকে আটক করা হয়েছে ৷ যদিও সেটা মিথ্যে বলে অভিযোগ নেতা নবাব মালিকের ৷ ওই সময় ১১ জনকে আটক করা হয়েছিল ৷ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সমস্ত তথ্য রয়েছে মুম্বই পুলিশের কাছে ৷

সেদিন ত্রুজ শিপে ১২ ঘণ্টা ধরে ১ হাজার ৩০০ লোকের তল্লাশি চালানো হয় ৷ তার মধ্যে মাত্র  ১১ জনকে আটক করে এনসিবি অফিসে আনা হয়েছিল ৷ এরপর কার নির্দেশে এনসিবি 3 জনকে ছেড়ে দিল, প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী নবাব মালিক ৷ তিনি সমীর ওয়াংখেড়ের কল রেকর্ড চেক করার দাবিও জানিয়েছেন ৷ নবাব মালিকের দাবি, সমীর ওয়াংখেড়ের সঙ্গে দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতাদের কথা হয়েছে ৷ এ বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নবাব মালিক ৷

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version