কলকাতা ব্যুরো: শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে হাইকোর্টের দুই বিচারপতির মধ্যে নারদ মামলায় ধৃতদের সম্পর্কে রায় নিয়ে মতভেদ হয়। সেখানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জামিনের আবেদন খারিজের পক্ষে মত দেন। অন্যদিকে সহযোগী বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় তার আগেই লিখিতভাবে ওই চার জনের জামিন এর পক্ষে তার মত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন। ডিভিশন বেঞ্চ বিচার করতে বসে এই মতপার্থক্য দেখা দেওয়ার পর বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় দুপক্ষের মতের অমিল তৃতীয় বেঞ্চে যাওয়া পর্যন্ত চারজনকেই গৃহবন্দী বা হাউস অ্যারেস্ট এর পক্ষে মত দেন। কিন্তু তারপরে কেটে গিয়েছে প্রায় চার ঘন্টা। দুপক্ষের আবেদনকারীদের দাবি মেনে, তৃতীয় বেঞ্চ গঠনের পক্ষে হাইকোর্ট মত দিলেও এখনো পর্যন্ত প্রথম বেঞ্চের রায় ঘোষিত হয়নি। ফলে বেলা সাড়ে তিনটের পরেও সব পক্ষই অপেক্ষায় কখন তৃতীয় বেঞ্চ বসবে, এই দুই বিচারপতির রায় সমস্যার সমাধান করতে।


এদিন শুনানির শুরুতেই বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় নারদ মামলায় প্রভাবশালী নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে আপত্তি জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। এর পরেই এক জটিলতার তৈরি হয়। একদিকে সিবিআই হাউস অ্যারেস্ট বিরোধিতা করে। অন্যদিকে ধৃতদের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আপত্তি জানান এই রায়ে। ধৃতদের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত তৃতীয় বেঞ্চ বসিয়ে এই জটিলতা সমাধানের দাবি জানান। যদিও বেলা পৌনে চারটে পর্যন্ত হাইকোর্ট সূত্রে খবর, প্রথম ডিভিশন বেঞ্চ এর রায় এখনো পর্যন্ত ত্রুটি মুক্ত করে আপলোড করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপরেই বিশেষ বেঞ্চ বসার ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। ক্রিমিনাল মামলার ক্ষেত্রে এক বিচারপতির নেতৃত্বে বেঞ্চ বসানোর প্রথা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে একজন বিচারপতি এই মামলার শুনানির জন্য বসতে পারেন। কিন্তু সেটা আজই হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে শনি ও রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় সব পক্ষই চাইছে আজই বসুক বিশেষ বেঞ্চ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version