কলকাতা ব্যুরো: ‘মিশনারিজ অফ চ্যারিটি’র সবক’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। মোদী সরকারের এই আচরণের তীব্র বিরোধিতা করে টুইটারে সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের জেরে মাদার টেরিজার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ২২ হাজার রোগী এবং কর্মী ওষুধ ও খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কিন্তু কেন বন্ধ হল মাদার টেরিজার সংগঠনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুয়েক আগে গুজরাটের ভাদোদরায় বিতর্কে জড়ায় এই সংগঠন। জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ ওঠে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বিরুদ্ধে। দায়ের হয় এফআইআর-ও। এই ঘটনার সঙ্গে কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মিশনারিজ অব চ্যারিটি-র অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি কেন্দ্র। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফ থেকে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে যে, সংস্থার তরফেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আর্জি জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি কেন্দ্রের দাবি, কিছু শর্ত পূরণ না হওয়ায় সংস্থার লাইসেন্স রিনিউ করা হয়নি। সংস্থার তরফ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। তবে সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, এই খবর অস্বীকার করা হয়নি। কিন্তু কী কারণে এমনটা হল, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যাও পাওয়া যায়নি।
টুইটারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ক্রিসমাসের দিন মাদার টেরেসার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সবক’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। আমি স্তম্ভিত। তাঁদের অন্তত ২২ হাজার কর্মী ও রোগী ওষুধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানছি, আইন সবার আগে। কিন্তু মানবিকতার সঙ্গে আপস করা উচিত নয়। তবে এ প্রসঙ্গে এখনও কেন্দ্র বা মিশনারিজ অফ চ্যারিটির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কেন অ্যাকাউন্টগুলি ‘ফ্রিজ’ করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সরব হয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র-ও। টুইটারে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপে তিনিও স্তম্ভিত বলে উল্লেখ করেছেন টুইটে। বাম নেতা আরও জানিয়েছেন, শুধু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নয়, নগদ ব্যবহারেরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র।