কলকাতা ব্যুরো: রবিবারের পরিসংখ্যানেও করোনা পরিস্থিতির কোন বদল ছিল না রাজ্যে। দৈনিক সংক্রমণ ও সুস্থতা, দুটোই কমে গিয়েছে। মৃত্যু বরং সামান্য হলেও বেড়ে গিয়েছে। এই মৃত্যুহারটাই পশ্চিমবঙ্গের জন্য এখনও উদ্বেগজনক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক তাই রাজ্যে করোনা মোকাবিলার প্রশংসা করলেও মৃত্যুহার কমানোর ওপর জোর দিচ্ছে। মৃত্যুহার সব রাজ্যে ১-এর নীচে নামানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন বুধবার। ওই বৈঠকে ডাক পেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেসব রাজ্যে মৃত্যুহার বেশি, পশ্চিমবঙ্গ, তাদের অন্যতম। ১ তো দূরের কথা, ১.৬০-র নীচে কখনও নামেনি এরাজ্যের মৃত্যুহার। গত প্রায় ১ মাস ধরে দৈনিক মৃত্যু ৫০ থেকে ৬০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করলেও সামান্য দু-একদিন ৬১ হয়ে গিয়েছে। রবিবারও তাই হয়েছে। মৃত্যু এখনও সবচেয়ে বেশি কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা এবং লাগোয়া জেলাগুলিতে। কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ১৫, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৬। এছাড়া হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর, এই দুটি জেলায় ৬ জন করে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩, হুগলিতে ২ ও পূর্ব বর্ধমানে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ও রবিবারের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে সামান্য কমে হয়েছে ৩,১৭৭। সুস্থতাও সামান্য কমে হয়েছে ২,৯৫৮। তবে তুলনায় সুস্থতার হার বেড়েছে।

রবিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই হার ছিল ৮৭.০৫। রাজ্যের জাতীয় গড়ের চেয়ে অনেকটা ওপরে। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সোয়া ২ লক্ষ ছাপিয়ে গেল। রবিবার পর্যন্ত এই সংখ্যা হল ২,২৫,১৩৭। আর রাজ্যে মোট সংক্রমণ মুক্তের সংখ্যা ১,৯৫,৯৭২। মোট মৃত্যু ৪,৩৫৯। কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৪, সংক্রমণ মুক্ত ৪৩৫। উত্তর ২৪ পরগনায় ৫০৭ ও ৪৬৮, হাওড়ায় ২১৮ ও ১৩৩, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৫৩ ও ১৭৩, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২১৯ ও ১৯০, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৫৩ ও ১৭৩, হুগলিতে ১৭০ ও ১৯২ এবং পূর্ব বর্ধমানে ৯৮ ও ৬০ জন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version