কলকাতা ব্যুরো: নৃশংসতম বর্বরতার সাক্ষী উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট। বসিরহাটের মাটিয়া থানা এলাকার একটি গ্রামের বছর ১১-এর শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তার মাসির প্রেমিকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সেই ষড়যন্ত্রে মদত দিয়েছিল স্বয়ং তার মাসি, এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। মাটিয়া থানার এক ব্রিজের কাছে নিখোঁজ ওই শিশুকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। ২৪ ঘণ্টা পর খুঁজে পাওয়া যায় ওই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে, জানা গিয়েছিল এমনটাই।

গ্রামবাসীরা জানান, পারিবারিক বদলা নিতেই তার মাসি প্রেমিককে দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। দুঃস্থ পরিবারের এই কন্যাসন্তান এখন আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে তার লড়াই চলছে। কিশোরীর চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। সেই মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ, সার্জারি, মেডিসিন, সাইকোলজি বিভাগের চিকিৎসক।

তবে রবিবারই বসিরহাটের মাটিয়ায় ধর্ষিতা নাবালিকার পাশে দাঁড়াতে আর জি কর হাসপাতালে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। এদিন আরজিকর হাসপাতালে সুপারকে না পাওয়া গেলেও ডেপুটি সুপারের সঙ্গে কথা বলে বিজেপির প্রতিনিধিদল। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, চিকিৎসকরা ঠিকমতো চিকিৎসা করছেন। আপাতত চিকিৎসা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।

তবে ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের। ঘটনায় ভর্তি নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই নাবালিকাকে এখনও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রেখেই চলছে চিকিৎসা। রাতে রক্ত দিতে হয়েছে। জ্বর এখনও রয়েছে। পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করে তাকে পর্যবেক্ষণে রেখে চলছে চিকিৎসা।

ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মাসি রোজিনা বিবি ও তার প্রেমিক সহর আলি সরদার ওরফে সাগরকে গ্রেফতার করেছে মাটিয়া থানার পুলিস। তারপর তাদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সেই শাস্তিতে সন্তুষ্ট নন ওই শিশুকন্যার গ্রামের মানুষ। তাঁরা চাইছেন কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি। এমনকি ফাঁসির দাবিও তাঁরা জানাচ্ছেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version