কলকাতা ব্যুরো: আইকোর চিটফান্ড সংস্থা কিনা, তা জানা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। সেই কাজটা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার (সেবি)। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের পর এমনটাই জানালেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, অনেক সংস্থার তরফে আমন্ত্রণ করা হয়। সংস্থার ব্যালেন্স শিট বা ইতিবৃত্ত জানার কথা নয় তাঁর। তবে শিল্পমন্ত্রীর দাবি, তিনি সিবিআইকে জানিয়েছেন, তদন্তে সমস্তরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ৷

সোমবার শিল্প সদনে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের পর পার্থবাবু বলেন, ‘আইকোর চিটফান্ড নাকি চিটফান্ড নয়, সেটা তো জানা আমার কর্তব্য নয়। সেটা সেবি এবং আরবিআইয়ের জানার কথা। আমি জানব কীভাবে? এখানে যারা প্রতিদিন আসে, আমন্ত্রণ করে, আমি কি তাদের ব্যালেন্স শিট দেখি নাকি ব্র্যাকগ্রাউন্ড দেখি? আমার পক্ষে যতটুকু জানান, ততটুকু বলেছি। আমার লক্ষ্য হচ্ছে, শিল্পোয়নে উদ্যোগী হওয়ায় কর্মসংস্থান তৈরি করা এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে জোয়ার আনা।’

সিবিআইয়ের তরফে আগেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একাধিকবার আইকোর মামলায় নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা জানিয়ে পার্থ সেই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এবার তাঁর বাড়ি এসে বয়ান রেকর্ড করতে বলেন পার্থ। শেষপর্যন্ত সোমবার দুপুরে শিল্প সদনে আসেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির আধিকারিকরা। পরে পার্থ জানান, তিনিই শিল্প সদনে আসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেইমতো সৌজন্যতা দেখিয়ে এসেছিলেন সিবিআই কর্তারা। সিবিআইও তাঁকে কোনওরকম হেনস্থা করেনি বলে দাবি করেছেন পার্থ।

পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, সিবিআইকে তিনি যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। জানিয়েছেন যে ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার তিন মাসের মধ্যে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। তাই মন্ত্রী হিসেবে সেখানে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘সৌজন্য দেখিয়ে তাঁরা আমার অফিসে এসেছেন। হেনস্থার প্রশ্ন কোথায় উঠছে?’

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version