কলকাতা ব্যুরো: বর্ধমানের পর এবার হাওড়ায় (Howrah Death) বিষমদ পান করে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ঘুসুড়ির মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকার গজানন্দ বস্তিতে। সূত্রের দাবি, ওই বস্তিতে বিষমদ (Howrah Death) পান করে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। একই সঙ্গে, পুলিশ-প্রশাসনকে না জানিয়েই কয়েকজনের দেহ সৎকার করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকজন মদ্যপানের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বাড়িতেই থাকলেও অধিকাংশকেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিষমদ পান করেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। ঘুসুড়ির যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি শিল্পাঞ্চল। প্রচুর ছোট ছোট কারখানা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মালিপাঁচঘড়া থানার পিছনে প্রতাপ কর্মকার নামে এক ব্যক্তি চোলাইয়ের ঠেক চালাতেন বলে অভিযোগ। সেখানে স্থানীয় কারখানার শ্রমিকদেরই নিত্য আনাগোনা ছিল বলে খবর।

বস্তিতে বসবাসকারী শ্রমিকরা ঘটনার দিনও সেই চোলাইয়ের ঠেকে মদ্যপান করেছিলেন। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, চোলাইয়ের ঠেকে বিষমদ বিক্রি (Howrah Death) করা হয়েছে। এই ঘটনায় কয়েকজনের পরিবার পুলিশকে না জানিয়েই দেহ সৎকার করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বিষমদ পান করে মৃত্যুর খবর পেয়ে বস্তিতে পৌঁছেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া কমিশনারেটের আধিকারিকরা।

গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড়া করা হবে না বলেই হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে, স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়মিত ওই বেআইনি ঠেকে আসর বসে। দীর্ঘ দিন ধরেই এমন চলছে। অথচ পুলিশ প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। কেন ওই বেআইনি ঠেক ভেঙে দিচ্ছে না প্রশাসন, প্রশ্ন তুলেছেন বস্তিবাসীরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version