কলকাতা ব্যুরো: হাওড়ায় নতুন করে আরও ২৩টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করলো প্রশাসন। যার পর হাওড়া জেলায় মোট মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৭টি৷ হাওড়া পৌরনিগম এলাকার বেশ কিছু ওয়ার্ড এর মধ্যে রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সর্বাধিক মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে জগৎবল্লভপুর, সাঁকরাইল, আমতা ২নং ব্লক এবং আমতা ১নং ব্লকে। জগৎবল্লভপুর ও আমতা ২নং ব্লকে ৬টি করে ১২টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে। সাঁকরাইল ও শ্যামপুর ১নং ব্লকে ৪টি করে মোট ৮টি এবং বালির জগাছা, পাঁচলা এবং শ্যামপুর ২নং ব্লকে ১টি করে মোট ৩টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে।

নবান্নের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে নতুন মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে বিধিনিষেধ লাগু করা হয়েছে ৷ আর সব মিলিয়ে হাওড়া মোট ৩৭টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করেছে প্রশাসন ৷ করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সম্প্রতি হাওড়া পৌরনিগমের তরফে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের সমন্বয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছিল ৷ তার কয়েকদিনের মাথায় ২৩ অক্টোবর নবান্নের তরফে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ রুখতে নতুন করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয় ৷ হাওড়া পৌরনিগমের ১৩, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৯, ৪১, ৪৪, ৪৭ এবং ৪৮নং ওয়ার্ডের কয়েকটি এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে ৷

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, হাওড়া পৌরনিগমের অন্তর্গত আন্দুল রোড, হাটপুকুর জিআইপি কলোনি, ব্রজনাথ লাহিড়ী লেন, সার্কুলার রোড ফোর্থ বাই লেন, ডবসন রোড, পি কে রায়চৌধুরী লেন, শরৎ চট্টোপাধ্যায় রোড, শিবপুর রোড, অমৃতলাল মুখার্জি লেন, ধর্মতলা লেন, সাতাশি দক্ষিণ পাড়া ও দক্ষিণ বাঁকসারা ভিলেজ রোডের একাংশকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের মধ্যে আনা হয়েছে ৷

তবে, সেই সময় হাওড়া গ্রামীণকে কনটেনমেন্ট জোন ও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়নি ৷ কয়েকদিন আগে হাওড়া পৌরনিগম এলাকার ওই ৯টি ওয়ার্ডকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করার পর, এবার হাওড়া সদরের বাকি অংশ এবং গ্রামীণ এলাকাতেও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে ৷

প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোয় যেভাবে ঠাকুর দেখার ঢল নেমেছিল কলকাতা ও তার আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে ৷ তার পর থেকেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে ৷ ফলে যতটা সম্ভব মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করে সংক্রমণ রোধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার ৷

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version