কলকাতা ব্যুরো: বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে তুলোধনা করলেন অন্যদিকে দুর্গাপুজোয় বিভিন্ন মণ্ডপে গিয়ে মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশ্বাস দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। করোনাভাইরাস বাংলায় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে কোভিড বিধি মেনেই পুজো করার পরামর্শ দিলেন তিনি। দেশকে ভালবাসতে বার্তাও দিলেন তিনি।

এদিন চক্রবেড়িয়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন, ‘‌এখান থেকে আমি বারবার সাংসদ হয়েছি। এখানকার মানুষ আমার পাশে আছে। ঠিকভাবে ভোট হলে বিজেপি ৩০টি আসন পেত না। বিধায়ক না থাকলে মুখ্যমন্ত্রী থাকা ঠিক নয়। আমাকে ৬ মাসের মধ্যে বিধায়ক হতে হবে। মনে রাখবেন বি–তে ভবানীপুর। আর বি–তেই ভারতবর্ষ।’‌ এই মন্তব্য থেকে তিনি বিজেপিকে যেমন চরম আক্রমণ করলেন তেমনই দেশের মানুষের জন্যও বার্তা দিলেন।

এরপরেই তিনি নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তাঁর কথায়, ‘‌নন্দীগ্রামে মনোনয়নের দিন জোর করে আমাকে আহত করা হয়। পায়ে চোট পেয়ে হুইল চেয়ারে প্রচার করেছি কিন্তু মা–মাটি–মানুষ আমার সঙ্গে ছিলেন। অনেক অত্যাচার করেছে। ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেও জিততে পারেননি। অনেকে ভাবতেও পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস এত আসনে জিতবে। কৃষকদের জন্য অনেক আন্দোলন করেছিলাম। তাই নন্দীগ্রামে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু ওরা নন্দীগ্রামে কারচুপি করেছে। সেটা আদালতে প্রমাণ হবে।’‌

উত্তরপ্রদেশে কোভিডে মারা গেলে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ‘‌সেই দেহ আমরা সৎকার করেছি। ওখানের করোনাভাইরাসের সংখ্যা কত?‌ আর আমাদের এখানে সংমখ্যা কত?‌ বাংলাকে বদনাম করবার জন্যই এই কাজ করা হয়েছিল। তাও কিছু বলিনি। নিজেরা সৎকার করে দিয়েছি। দুঃখ লাগে ওরা এরপরও একটু সম্মান করতে জানে না।’‌

এরপর ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে ১৪৪ ধারা করা হয়েছে। অভিষেকের পদযাত্রা আটকাতেই নানা ছক করা হয়েছে। আজ ত্রিপুরা হাইকোর্ট কাউকে নোটিশ পাঠানো যাবে না এবং তলব করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। আজ নির্বাচনী সভা থেকে এই বিষয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‌বাংলায় সব পুজো হয়। আমি সব ধর্মেই বিশ্বাস করি। ত্রিপুরায় দীপাবলি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাহলে কি করে দুর্গাপুজো হবে?‌’‌

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version