কলকাতা ব্যুরো: উত্তরকাশীতে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বাংলার পাঁচ পর্যটক। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেহ ঘরে ফেরার অপেক্ষায় স্বজনহারারা। নিহতদের দেহ রাজ্যে ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের।

বৃহস্পতিবার সকালে টুইটে মুখ্যমন্ত্রী নিহত পাঁচ বাঙালি পর্যটকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি আরও লেখেন, পাঁচ পর্যটকের দেহ বুধবার রাতে হৃষিকেশের এইমসে রাখা হয়। নিহতদের পরিজনেরা দেহ নিয়ে আসার জন্য দিল্লি থেকে হৃষিকেশে যাবেন। সেখান থেকে মরদেহ ফেরত নিয়ে আসা হবে বাংলায়।” দেহ ফেরত নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সমস্তরকম সহযোগিতার নির্দেশ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার চারধাম যাত্রায় উত্তরকাশীর পথে ৯৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটে দুর্ঘটনাটি। বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ হরশিলের কান্দি সৌদ তেহসিলের কাছে গভীর খাদে ছিটকে পড়ে পর্যটক বোঝাই বড় চারচাকার গাড়ি। পাথরে ধাক্কা খাওয়া মাত্র জ্বালানি ট্যাঙ্ক ফেটে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। ওখানেই ঝলসে মারা যান গাড়ির চালক ও বাংলার পাঁচ পর্যটক। তাঁদের মধ্যে তিনজন গড়িয়ার বাসিন্দা। একই পরিবারের সদস্য মদনমোহন ভুঁইয়া (৫৩), ঝুমুর ভুঁইয়া (৪৮) এবং নীলেশ ভুঁইয়া(২১)। অন্য দু’জন হলেন প্রদীপ দাস (৪৭) ও দেবমাল্য দেবনাথ (৪৩)। তাঁরা উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর ও নৈহাটির বাসিন্দা।

অন্যদিকে, ওড়িশায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৬ জন বাঙালি পর্যটক। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের সুলতানপুর থেকে ২৩ মে পর্যটকদের নিয়ে একটি বাস ছাড়ে। গন্তব্য ছিল বিশাখাপত্তনম। মোট ৬০ জন বেড়াতে যাচ্ছিলেন বলেই খবর। মঙ্গলবার গভীর রাতে দারিংবাড়ি থেকে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারায় বাসটি। তবে কোনওরকমে চালক বাসটিকে সমতলে নামিয়ে আনেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ওড়িশার গঞ্জামের ভঞ্জনগর এলাকায় অর্থাৎ সমতলে পৌঁছতে উলটে যায় পর্যটক বোঝাই বাসটি। তাতেই প্রাণ হারান পর্যটকেরা। তাঁদের দেহ বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে এসে পৌঁছয়। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে তাঁদের শেষকৃত্যও।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version