কলকাতা ব্যুরো: সর্বভারতীয় হচ্ছে দল। তাই এবার দলীয় সংবিধানেও আনা হচ্ছে বেশ কিছু পরিবর্তন। সোমবার কালীঘাটে তৃণমূলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। একই সঙ্গে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক বলেন, আমাদের দলের মূল যে ভাব, আমাদের কর্মী আমাদের গর্ব’, তাতে কোনও বদল আসেনি।

এদিন ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, আমাদের পরের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে দিল্লিতে। এটা ঠিক যে ২০১৫ সাল থেকে নির্বাচন কমিশন আমাদের সর্বভারতীয় দল বলে। কিন্তু ২০২১ সালের ৫ জুন আমাদের নতুন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান জাতীয় স্তরে আমাদের পরিকল্পনাটা একটু অন্যরকম এবার থেকে।
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের যে দলীয় সংবিধান আছে, সেটাতে বদল হবে। এখন ২১ জন ওয়ার্কিং কমিটিতে আছি। আমরা সবাই বাংলার মানুষ। এই কমিটি আরও বাড়বে। মেঘালয়, গোয়া, হরিয়ানা, বিহার থেকে প্রতিনিধিরাও থাকবেন। প্রস্তাব আমাদের থাকলেও যা পরিবর্তন হবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেবেন। আমাদের সংবিধানেও তার উল্লেখ থাকবে।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সর্বসম্মতি ক্রমে গৃহীত বিভিন্ন রেজলিউশন আমাদের দলীয় সংবিধানে যুক্ত হবে। এদিনের কর্মসমিতির বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে দলের যে বিস্তার তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপির বিকল্প শক্তি হিসাবে যে উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে, তাতে আরও বেশি করে সক্রিয় হতে হবে।

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন আরও জানান, মে মাসে মমতাদির নেতৃত্বে বাংলায় যে বিপুল জয় এসেছে তা ভারতবর্ষের কাছে নজির সৃষ্টি করেছে। ভারতবর্ষকে পথ দেখিয়েছে। ২০২৪ সালেও বাংলা ভারতবর্ষকে পথ দেখাবে। আজ খুব ভাল মিটিং হয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটি যেমন ছিল, তেমনই আছে এখন। নতুন যাঁরা আসবেন, তাঁদের নাম যুক্ত হলেই জানিয়ে দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটিতে আসছেন লিয়েন্ডার পেজ, মুকুল সাংমারা।

এদিনের বৈঠকের পরই মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৈঠক হতে পারে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গেও। তার আগে এদিনের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

ডেরেক জানান, এদিনের বৈঠকে সবাই বলেছেন বিজেপিকে হারানোর জন্য মমতাদি সবথেকে নির্ভরযোগ্য, অভিজ্ঞ মানুষ। উনি শুধু তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী নন। উনি সাতবারের সংসদ সদস্যও।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version