কলকাতা ব্যুরো: কাশ্মীরের উরি সীমান্তে শুক্রবার ব্যাপক গোলাগুলি পর শনিবারও টানটান অবস্থা ওই সীমান্ত এলাকায়। যদিও সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের এদিন ওই এলাকা থেকে অনেকটাই দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাঁচজন ভারতীয় জওয়ান সহ মোট ১১ জন ভারতীয়ের মৃত্যুর পরেও ভারতের বাহিনী যেকোনো মূল্যে পাল্টা জবাব দেওয়ার রাস্তাতেই হাঁটবে বলে নিশ্চিত করেছে সেনা।
শুক্রবার ভারতীয় জওয়ানরা পাল্টা হামলায় অন্তত আটজন পাকিস্তানি সেনাকে নিকেশ করেছে বলে দাবি ভারতীয় সেনার মুখপাত্রের।
তবে যেভাবে ভারতীয় সেনা লাইন অফ কন্ট্রোল লাগোয়া এলাকায় পাহাড়ের উপরে থাকা পাকবাহিনীর বাঙ্কার রকেট লঞ্চার দিয়ে ধ্বংস করেছে, তা প্রত্যক্ষ করে যথেষ্টই উদ্বুদ্ধ গোটা দেশ। সেই ছবি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছোড়া রকেট লঞ্চার কাঁপতে কাঁপতে গিয়ে একেবারে হিট করেছে ওই বাংকারে। সেখানে প্রচুর জ্বালানি ছিল বলে দাবি ভারতীয় সেনার। এই বাঙ্কার ধ্বংস করতে পারায়, একটা বড় জবাব বলেই মনে করছেন ভারতীয় সেনাবাহিনী।
তবে এতে স্বস্তি পেতে রাজি নয় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের দিক থেকে যেকোনো সময় হামলা হতে পারে বলে ধরে নিয়ে গোটা কাশ্মীরের পাক সীমান্তের বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যে কোনোভাবেই হোক ওপার থেকে কোন প্ররোচনা এলে তার প্রয়োজন মত জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি রাখা হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে।
এদিকে শুক্রবার এর ঘটনার পর পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট মেহবুবা মুফতি। শনিবার টুইট করে তিনি ভারত এবং পাকিস্তান দু’পক্ষকেই রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে শান্তি বজায় রাখার জন্য আলোচনায় যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। তার বক্তব্য, শান্তির পথেই মানুষকে ভালো রাখা যাবে। দুই দেশ লাইন অফ কন্ট্রোলের যুদ্ধবিরতির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা জারি রাখতে হবে বর্তমান দুই দেশেরই শাসককে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন অটল বিহারী বাজপাই ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ এ ব্যাপারে যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছিলেন। বর্তমান দুই দেশের শাসকদের মেহবুবা মুক্তির আবেদন, লাইন অফ কন্ট্রোল কোন রকম ভাবে প্ররোচনা দেওয়া এবং সিজ ফায়ার চুক্তি মেনে চলতে দুপক্ষই যেন বাহিনীকে সতর্ক করেন।