কলকাতা ব্যুরো: মগরাহাটে জোড়া খুন। অভিযোগ, এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁর বন্ধুকে পাওনা টাকা দেবার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে শনিবার সকালে খুন করে দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, প্রথমে গুলি করা হয় তাঁদের, তারপরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা কেটে দেওয়া হয় তাঁদের। মৃত সিভিক ভলান্টিয়রের নাম বরুণ চক্রবর্তী, বয়স ৩৫ বছর। তাঁর বন্ধুর নাম মলয় মাকাল, বয়স ৩১ বছর ৷ দু‘জনেই মগরাহাট থানার মাগুরপুকুর এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয়দের দাবি, দুই যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ জানে আলম অ্যান্ড কোম্পানি নামে স্থানীয় একটি সংস্থার ঘর থেকে উদ্ধার হয়। ওই সংস্থাটি গবাদি পশুর হাড় দিয়ে নানা জিনিসপত্র তৈরি করে।

খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শনিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মগরাহাটের মাগুরপুকুর এলাকা। দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্তের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে, ক্রমে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। রাস্তার উপর থাকা একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রথমে ঘটনাস্থলে যায় ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশ। পরে ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও মিতুন দের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় এলাকায় দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকাল এগারোটা নাগাদ অশান্তির সূত্রপাত। মাগুরপুকুর এলাকায় গরুর হাট বসে। সেখানেই টাকাপয়সা লেনদেন নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বাঁধে। ওই সংস্থায় টাকা রেখেছিল বরুণ ও মলয়। অভিযোগ, তাঁরা ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের একটি দোকানের ভিতরে ঢুকিয়ে দোকানের শাটার নামিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর তাঁদের গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করা হয়।

আর একটি সূত্রের দাবি, পাওনা টাকা চাওয়ায় পরিকল্পনা করে ডেকে নিয়ে গিয়েই এদিন খুন করা হয়েছে বরুণ চক্রবর্তী ও মলয় মাকালকে। বরুণ মগরাহাট থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজ করতেন। দু’জনের দেহ উদ্ধারের পর ওই কারখানাতে অবশ্য কাউকে দেখতে পাওয়া যায়নি। পুলিশ নিহতদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও মিতুন দে বলেন, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে। মূল অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। দ্রুত গ্রেফতার করা হবে তাকে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version