কলকাতা ব্যুরো: খারকিভ থেকে বেরনোর ডেডলাইন শেষ৷ কিন্তু এখনও অথৈ জলে বহু ভারতীয় পড়ুয়া৷ কোথায় যাবেন কী করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা৷ বুধবার ইউক্রেনের স্থানীয় সময় সন্ধে ৬টার মধ্যে খারকিভ খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল বিদেশমন্ত্রক ৷ সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু অনেকেই শহর ছেড়ে বেরতেই পারেননি ৷ বিদেশমন্ত্রকের কথামতো খারকিভ ছাড়বেন বলে অনেকেই এদিন রেলস্টেশনে পৌঁছন কিন্তু অভিযোগ, ভারতীয়দের ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ একই অবস্থা মেট্রো স্টেশনে ৷ একরাশ হতাশা, অনিশ্চয়তা এবং আতঙ্কের মধ্যে সেখানেই সময় কাটাতে হচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়াদের ৷

যুদ্ধবিধ্বস্ত খারকিভে কী অবস্থায় আছে ভারতীয় পড়ুয়ারা তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো দেখে বুঝতে পারা যাচ্ছে ৷ স্টেশনে পড়ুয়াদের ভিড় ৷ বাইরে বরফ পড়ছে ৷ হাড়হিম করা ঠান্ডার মধ্যে সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে তাঁরা ৷ ট্রেন আসছে যাচ্ছে কিন্তু সেখানে তাঁদের উঠতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ৷ এদিকে রসদে টান পড়ছে ৷ শহর ছেড়ে বেরতে না পারলে আর খাওয়া জুটবে কি না সেটাও জানেন না তাঁরা ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক পড়ুয়ার ভিডিয়োতে এই ছবিই ফুটে উঠেছে ৷

ভিডিয়োতে ওই ছাত্রকে বলতে শোনা যাচ্ছে, তিনঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি ৷ একটি ট্রেন এল ৷ কিন্তু আমাদের উঠতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ আগে ইউক্রেনের মানুষদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে ৷ যদিও ভারতীয় মহিলাদের ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু অধিকাংশ পড়ুয়া সেই সুযোগটা পাচ্ছেন না।

এদিকে বিদেশমন্ত্রক যেভাবে ভারতীয়দের দ্রুত শহর ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে তাতে আতঙ্ক আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে ৷ বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, যেভাবে হোক শহর খালি করতে হবে ৷ বুধবার সন্ধে ৬টার মধ্যে ভারতীয় পড়ুয়াদের নিকটবর্তী পেসোচিন (১১ কিমি), বাবায়ে (১২ কিমি) এবং বেজলিউ দোভকায় (১৬ কিমি) আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে ৷ জানানো হয়েছে, কিছু না পেলে সেখানে হেঁটেই পৌঁছতে ৷ অনেকে তাই গাড়ি, ট্রেন কিছু না পেয়ে হেঁটেই ওই সব এলাকায় পৌঁছন ৷

এমবিবিএসের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সাগরিকা ভগতকর জানিয়েছেন, তিনি এবং ৪০০ জন পড়ুয়া দু’ঘণ্টা হেঁটে পেসোচিনে বিদেশমন্ত্রকের সেফ হাউসে পৌঁছন ৷ কর্নাটকের এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, সে রাজ্যের অধিকাংশ পড়ুয়াই বিদেশমন্ত্রক নির্দেশিত জায়গাতে পৌঁছে গিয়েছে ৷ আজ রাতে অথবা বৃহস্পতিবার সকালে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার বন্দোবস্ত করা হবে ৷

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version