কলকাতা ব্যুরো: মহামারী ও লকডাউনে চাকরি চলে গিয়েছে দম্পতির। সংসার চালাতে তাই অদ্ভুত প্রচারণার রাস্তা বেছে নিলেন ২৭ বছরের তরুণী। তিন মাসের মধ্যে তিন জনকে বিয়ে করে ফেললেন। আর বিয়ের পরপরই যাবতীয় গয়না থেকে শুরু করে সেই লোকের টাকা পয়সা নিয়ে চম্পট। একের পর এক ঘটনার পর শেষ পর্যন্ত শনিবার মহারাষ্ট্রের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ওই তরুণীকে।
বিজয়া আহম নামে ওই তরুণী ঔরঙ্গাবাদ মুকুন্দ ওয়ালি এলাকার বাসিন্দা। নাসিকের সিননগর এলাকার যোগেশ নামে এক ব্যক্তি পুলিশে অভিযোগ করেন, এক মহিলা বিয়ের পরে তার যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে গেছে।
এরপরই পুলিশ খোঁজ শুরু করে সেই মহিলার। দেখা যায় কারজাত এলাকার বাসিন্দা সন্দীপ দ্যডে একই রকম অভিযোগ করেছেন স্থানীয় থানায়। এরপর পুলিশ খোঁজ পায় আরো এক ব্যক্তির। তারও অভি যোগ এদের মতই। এরপরই পুলিশ ওই তরুণীকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে।
ওই তরুণীর একটি ছেলেও রয়েছে।
পুলিশের কাছে জানিয়েছে মহামারীতে লকডাউনের মধ্যে চাকরি চলে গিয়েছে তার স্বামীর এবং নিজের। অথচ সংসার চালানোর মত কোন আর্থিক সাহায্য নেই। এই অবস্থায় বিয়ে করার এবং প্রতারণার ছক করছেন তিনি। এই ভাবে গত তিন মাসে তিন শহরের তিনজনকে নিজের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করে ফেলেন তিনি। আর বিয়ে করার দু’চারদিনের মধ্যেই তার দামি জিনিসপত্র নিয়ে গা ঢাকা দেন তরুণী।