কলকাতা ব্যুরো: ভারত-চিন সীমা বিবাদ আবার বাড়লো। এবার লাদাখের ডেমচকের এলাকাতে ভারতীয় সেনার হাতে ধরা পরলো চিনের লাল ফৌজের এক সেনা।ভরতীয় সেনার তরফে জানানো হয়, ওই চিনা সৈন্যের নাম ওয়াং ইয়া লং যাকে ১৯ অক্টোবর ওই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পিএলএ-র কাছ থেকে নিখোঁজ সৈনিকের সম্পর্কে ভারতীয় সেনা একটি অনুরোধও পেয়েছিলো । ওয়াং ইয়া লং নাম ওই সৈন্যের থেকে নাগরিক ও সামরিক নথিপত্র পাওয়া গেছে।
ভারতীয় সেনা তরফে আরো জানায় হয় যে ওই সেনাকে অক্সিজেন, খাবার এবং উষ্ণ পোশাক সহ চিকিৎসা সহায়তা সরবরাহ করা হয়েছে। চিনের তরফে ওই সৈনিকের বর্তমান অবস্থার খবর চেয়ে ভারতীয় পক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে ।পরবর্তী কালে জেনেভা কনভেকশনের নিয়ম মতো তাকে চুশুল-মোল্দো বৈঠকে চিনা কর্মকর্তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগেও চিনা সৈনিকদের ভারতীয় এলাকাতে ঢুকে পড়ার অনেক প্রমান পাওয়া যায়। সম্প্রতি এমপি ও অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব বিজেপি প্রমুখ তাপির গাও এমনই দাবি জানান দিল্লির কাছে। তার মতে চিনা সেনা এলএসি পার করে সুবানসিরি জেলাতে সুবানসিরি নদীর তীর দখল করে নিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিদের মতে, উত্তরাখণ্ডের কিছু গ্রাম ও পিএলএ-র নজরে আছে।নেপালের সাথে বেড়ে ওঠা চিনের বন্ধুত্ব ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী ভারত বিদ্বেষী হওয়ায় ভবিষ্যতে নেপালের এলাকা থেকেও চিন সেনা ভারতীয় এলাকাতে ঢুকতে পারে। এরমধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হলো পিথোরাগড় যা চীন ও নেপাল দুই দেশের সাথেই সীমা ভাগ করে। এছাড়া কে.পি. শর্মা অলি সরকার দ্বারা ভারত কর্তৃক পরিচালিত জেলার কালাপাণি অঞ্চল সংলগ্ন তিনটি গ্রামে নেপালের প্রতি তাদের আনুগত্য স্থানান্তরিত করার জন্য উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় গ্রামে ক্রমবর্ধমান লোকদের পাঠাচ্ছে।