কলকাতা ব্যুরো: পূর্ব ঘোষণা মতো তৃতীয়া থেকেই সাধারণের জন্য খুলে গিয়েছে সার্বজনীন পূজোগুলির মণ্ডপ। আর তাকে কেন্দ্র করেই দুপুর থেকেই লোকারণ্য কলকাতার রাজপথ। যেন যুদ্ধ জয়ের উৎসবে সামিল হয়েছে মানুষ। দেখে মনে হচ্ছে, এতো রাজপথ নয়, উন্মুক্ত বধ্যভূমি। আত্মহত্যার সম্মিলিত সিদ্ধান্তের চারণক্ষেত্র।

এদিন দুপুরেই কলকাতা হাইকোর্ট তার রায় ঘোষণা করে বলেছে, এবছর কলকাতা সহ রাজ্যের কোনো মণ্ডপেই দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। প্রতিটি মণ্ডপকেই কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের পথ ঘাট, মন্ডপগুলি দেখে বোঝার জো নেই, এমন কোনো রায় হয়েছে।

প্রশাসন কিংবা পুজো কমিতিগুলির তরফেও প্রায় কোনো উদ্যোগও চোখে পড়লো না। আজ থেকে রাস্তায় মানুষ বেরোবে ধরে নিয়েই, পুলিশ প্রশাসনের তরফে যেমন ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সে ভাবেই চলছে সব। রাস্তার ধারে তৈরি হয়েছে ব্যারিকেড। ফলে ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে তার মধ্যে দিয়েই ঠাকুর দেখতে চলেছেন মানুষ। যারা এখনো পুজোর কেনাকাটা শেষ করতে পারেন নি, তারাও কেনাকাটা সারছেন শেষ মুহূর্তে।

রায় ঘোষণার পর তৎক্ষণাৎ যদি সব ব্যবস্থার করা না ও যায়, অন্তত সচেতনতার প্রচারটুকু শুরু হতেই পারতো। কিন্তু তেমন উদ্যোগ বড় একটা চোখে পড়লো না। নেই প্রচারও। প্রশ্ন উঠছে, মণ্ডপের ভেতর যদি না ও ঢোকা যায়, এই কদিনে রোজ অতিরিক্ত যে কয়েক লাখ মানুষ রাস্তায় নামবেন, তারা নিজেরা কতখানি সুরক্ষিত থাকবেন ? কতখানি গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়াবেন? এ প্রশ্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরই। করোনা মোকাবিলায় আদালতের রায় বাস্তবায়নে সরকারের তরফেই বা কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেটাও দেখার।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version