কলকাতা ব্যুরো: গতবছরের মার্চ মাসের শেষ থেকেই টানা লকডাউন। করোনার সংক্রমণের জন্য ঘরবন্দি মানুষ। টানা কিছু মাস থাকার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। আবার চলতি বছরেও ভোটের পরেই বিধিনিষেধ। শহর কলকাতায় কমেছে মানুষের যাতায়াত। গাড়ি চলাচল হচ্ছে না আগের মতো, আর তাতেই আয় কমেছে কলকাতা পুলিশের কারণ কম গাড়ি থাকার জন্য জরিমানা না হওয়ায় কলকাতা পুলিশের ফাইন করার সুযোগ কমেছে।
প্রতিবছর জরিমানা বাবদ কলকাতা পুলিশ বিশাল অঙ্কের অর্থ রোজগার করতো কিন্তু ২০২০ সালে সেই অঙ্কে ঘাটতি হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা। এবছরেও ধাক্কা খেয়েছে আদায়। ভালো জরিমানা না হওয়ায় নিরাশ কলকাতা পুলিশ। ২০১৫ সালের পর থেকে এই প্রথম কম জরিমানা আদায় করল কলকাতা পুলিশ। যা চিন্তা বাড়িয়েছে কর্তাদের।
পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে ২০২০ সালে কড়া লকডাউনে ২৬ কোটি ৯৮ লক্ষ ১৭ হাজার ২১৮ টাকা আদায় করেছে কলকাতা পুলিশ জরিমানা বাবদ। ২০১৯ সালে ওইভাবেই করোনা না থাকায় আদায়ের অঙ্ক ছিল ৬৩ কোটি ৯৫ লক্ষ। আর এইবছরে কমেছে আরও, আটমাসে অঙ্ক দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। হাতে রয়েছে আর চারমাস গতবছরের মত আয় হবে না কলকাতা পুলিশের বলাই যায়।
প্রসঙ্গত, গতবছরের ২৬ শে মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ছিল সম্পূর্ণ লকডাউন। ১ জুব থেকে আনলক শুরু হলেও মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন জরিমানা নেওয়া চলবে না। ছোটখাটো ক্ষেত্রে জরিমানা মকুব করতে হবে কারণ আর্থিক মন্দা, বেকারত্ব ও মাইনে না পাওয়া মানুষেরা পারবেন না সেই জরিমানার অঙ্ক বহন করতে।
আর করোনার জন্য বাস পরিষেবা বারবার বন্ধ হওয়ায় এখন অনেক মানুষ সাইকেল ব্যবহার করছেন যা জরিমানা যোগ্য নয়। কিছুক্ষেত্রে আবার ছাড় দেওয়া হয়েছে সাইকেলকে। গত মার্চ মাস থেকে মে মাসের লকডাউনে ৮৪ শতাংশ দুর্ঘটনা কমেছে যা যানবাহন না চলার জন্যই ঘটেছে।