কলকাতা ব্যুরো: এগিয়ে আসছে কলকাতা পুরভোটের লড়াই। তার আগে প্রস্তুতি তুঙ্গে গেরুয়া শিবিরে। দফায় দফায় রাজ্য দপ্তরে বৈঠকের পর সোমবার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করলো বিজেপি। আর তার আগে নজিরবিহীন নিরাপত্তাবলয় বিজেপি মুরলীধর সেন লেনে। বিজেপির রাজ্য সদর কার্যালয়ে বসল লোহার গ্রিল। তা নিয়েই নতুন করে উসকে উঠল জল্পনা।
সোমবার বিজেপির রাজ্য দপ্তরে গিয়ে দেখা গেল সেখানকার নিরাপত্তা বেড়েছে অনেকটাই। বিজেপির পার্টি অফিস এতদিন ছিল অবারিত দ্বার। কিন্তু কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী ঘোষণার আগেই লোহার গ্রিল, দরজা বসল দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মুখে। পুরনো এই বিল্ডিংয়ে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কার্যালয়। পিছনের বিল্ডিংয়ের প্রবেশ পথেও সেই একই লোহার গেট। এই বিল্ডিংয়ে বসেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা। আজ কলকাতা পুরভোটের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা বিকেলে। তার আগেই পার্টি অফিসের বিল্ডিংয়ের ঢোকার মুখে গ্রিলের দরজা কেন, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। পুরভোটের প্রার্থী নিয়ে কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভের আশঙ্কাতেই কি গ্রিলের দরজা বসানো হল দলীয় কার্যালয়ে? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে? তা নিয়েই জোর চর্চা চলছে।
দলের প্রায় সব বিদায়ী কাউন্সিলরকেই এবারের কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী করতে চলেছে বিজেপি। গতবার জেতা আসনে কোনও বদল আনতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। বর্তমানে কলকাতা পুরসভায় বিজেপির কাউন্সিলরের সংখ্যা ৪। গতবার ৭ জন জয়ী হয়েছিলেন। দু’জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
এছাড়া, একজন বিদায়ী কাউন্সিলর সম্প্রতি পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। একইসঙ্গে অর্ধেকের বেশি ওয়ার্ডে দলের যুব নেতৃত্বকে প্রার্থী করা হচ্ছে। যাঁদের বয়স চল্লিশের মধ্যে। কমপক্ষে ৩৫ শতাংশ মহিলা মুখ। সপ্তাহান্তে এই নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে দলের অন্দরে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, কলকাতায় ভোটের দায়িত্ব পাওয়া সত্ত্বেও সেখানে গরহাজির ছিলেন দলের সাংসদ অর্জুন সিং, রাজ্য নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সকালে বিজেপি সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, তাঁদের প্রার্থীতালিকা একেবারেই চূড়ান্ত। আলোচনা করেই প্রতি ওয়ার্ডে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কি প্রার্থী নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষের গন্ধ পাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি? তাই কি এই বজ্র আঁটুনি? এই নিয়েই সব মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।