কলকাতা ব্যুরো : কার্তিক মাস। এই সময় গ্রামে গ্রামে ভোরাই গান গেয়ে বেড়ান কীর্তন শিল্পীরা। তবে বর্তমানে সেই সব রেওয়াজ হারিয়ে যেতে বসেছে। এই লুপ্তপ্রায় ভরাই গানের ধারাকে ৫০ বছর ধরে টিকিয়ে রেখেছেন ক্ষুদিরাম হাজরা। কেতু গ্রামের রসুই গ্রামের ক্ষুদিরাম এই ৬২ বছর বয়সেও হারমোনিয়াম ঘাড়ে গোটা কার্তিক মাস জুড়ে ভোরবেলায় গান গেয়ে বেড়ান। এই গ্রামের আমজনতা তার কর্মকাণ্ডের জন্য তাই স্বীকৃতি দিলেন তাকে। সম্বর্ধিত করলেন ক্ষুদিরামকে।
উদ্যোক্তা তপন রায় জানালেন , ” সারা কার্তিক মাস জুড়ে গান গেয়ে ঘুরে ঘুরে মানুষকে জাগানোর জন্য কখনো রাই জাগো রাই জাগো, কখনো সুক সারি জাগে গেয়ে চলেন ক্ষুদিরাম। এই এলাকায় আজ থেকে ১০০ বছর আগে বিশিষ্ট বৈষ্ণব ভক্ত মধুসূদন হাজরা টহল গানের সূচনা করেন। আসলে আমরা এই ধারাটিকে সন্মান করলাম”।
আসলে কার্তিক মাসে সূর্যের দক্ষিণায়নের শুরু। এটা সূর্যের ঘুমের সময়। তাই তাকে জাগাতে প্রভাতী গানের রীতি চালু হয়। গ্রামে গ্রামে তৈরি হয় কীর্তন দল। তারা গায়কদের নিয়ে সকাল বেলা গ্রামে গ্রামে টহল দিয়ে গান গেয়ে বেড়াতেন। জমিদার ও সপন্ন গৃহস্থরা তাদের জন্য মাসোহারার ব্যবস্থা করতেন। তবে এখন আর তার চল নেই। মধুসূদনের মত হাতে গোনা কয়েকজন এখনও গ্রামে গ্রামে টহল দিয়ে এই গানকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।