কলকাতা ব্যুরো: আচমকা তিস্তা নদীর জলস্ফীতি। রাতভর বন্যা পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালালেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে তিস্তা নদী। মঙ্গলবার রাত থেকেই দোমোহনী থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে তিস্তা নদীতে।

এদিকে লাগাতার বৃষ্টির জলে জলমগ্ন জলপাইগুড়ি শহরের বেশকিছু এলাকা। তিস্তা নদীর জল ঢুকে জলমগ্ন নন্দনপুর বোয়ালমারি, বাহিরচর, খেংগির চর, মোতিয়ার চর-সহ মালবাজার মহকুমার চাপাডাঙ্গা এলাকা। স্থানীয় মানুষকে নিরাপদে রাখতে রাত থেকে তিস্তা নদী সংলগ্ন সমস্ত স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে।

জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানান, ইতিমধ্যেই ৩৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জেলায় সমস্ত চর এলাকা জলমগ্ন। যেখানে জল জমেছে সেখানে ভয়ের কিছু নেই। ময়নাগুড়ি, ক্রান্তি, মালবাজার এলাকায় জল জমেছে দশ হাজার মানুষকে সরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে। নতুন সেতুর পিলারগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে। কিছু কিছু রাস্তা খারাপ হয়েছে। রাস্তার উপর দিয়ে জল বইছে। এখন এনডিআরএফ ও সিভিল ডিফেন্সকে কাজে নামানো হয়েছে। পদমতি এলাকায় উদ্ধারকাজ চলছে। পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত, সদরে ১৮ টি নৌকা উদ্ধারকার্যে নামানো হয়েছে রাত থেকেই।

এছাড়া জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন সুকান্ত নগর কলোনি তিস্তা জলে ডুবে গিয়েছে। সেখানে উদ্ধারকার্য চলছে। স্থানীয়রা তিস্তার বাঁধে উঠে আসছে।

অন্যদিকে পাহড়ে লাগাতার তিস্তার ফলে গাজলডোবা ব্যারেজ থেকে বুধবার সকালে জল ছাড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে জলপাইগুড়ি সেচ দফতর সূত্রে। গাজোলডোবা ব্যারেজের লগ গেটের উপর দিয়ে জল বের হচ্ছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version