মৈনাক শর্মা
ইসরায়েল এ হামাস জঙ্গী সংগঠনের রকেট হামলার পর থেকেই গাজা উপত্যকায় একের পর এক এয়ার স্ট্রাইক করে ইসরায়েল। গাজা উপত্যকায় হামলার ফলে এখনো পর্যন্ত প্রাণ হারায় ১৬০ জন ও আহত হয় ৬০০ র বেশি গাজা বাসি। তবে উগ্র পন্থী সংস্থা হামাসের রকেট হামলার নিন্দা করে ইসরাইলের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা। নিজের আত্ম রক্ষার অধিকার সবার আছে বলেই ইসরাইল কে সমর্থন জানায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওয়াশিংটনের সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পর থেকেই ক্রমশ গাজা উপত্যকা দখলে এগোচ্ছে ইসরাইলের সেনা। কারণ সেখানেই অবস্থান করে হামাস গোষ্ঠী। প্যালেস্টাইনের শহর গাজা উপত্যকা দখল নিয়ে রোড ম্যাপ ও সেরে ফেলে ইসরায়েল সেনা প্রধান । সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় পৌঁছে গেছে ইসরায়েল সেনা দাবি করে কিছু সংবামাধ্যম ।
শুধু অ্যামেরিকায় নয় ইসরায়েলে কে সমর্থনে এগিয়ে আসে জার্মান, অস্ট্রিয়া সহ একাধিক দেশ। অন্য দিকে প্যালেস্টাইন সমর্থনে এগিয়ে যায় তুর্কি ও পাকিস্থান । এমনকি গাজা উপত্যকায় এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে ইসরায়েল কে যোগ্য শিক্ষা দিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিনের সঙ্গে কথাও হয় তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর।
তাছাড়া যুদ্ধে পরোক্ষ ভাবে হামসের পাশে রয়েছে ইরান। শত্রু পক্ষ ইসরায়েল কে যোগ্য জবাব হামাসকে আর্থিক সাহায্য করে ইরান এমনই দাবি করে প্যালেস্টাইন জাতীয় কর্তৃত্ব র প্রধান মহামৌদ আব্বাস। তাছাড়া যুদ্ধ চাইনা প্যালেস্টাইন বাসী এও জানায় আব্বাস। অন্য দিকে ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইন সন্ত্রাসবাদী সংস্থা হামাস যুদ্ধের সামনে থাকলেও এদের নেপথ্যে থাকা দুই শক্তিশালী দেশ আমেরিকা ইরান নিজেদের সম্পর্ক ঠিক রেখেই এই যুদ্ধ সমর্থন। দুই দেশের যুদ্ধ বিবাদ ইরান আমেরিকার পরমাণুর চুক্তি তে এই বিবাদ প্রভাব ফেলবে না বলেও মন্তব্য করেন ওয়াশিংটন।
ভবিষ্যতে যুদ্ধ হলে প্রাণ হারাবে নির্দোষ প্যালেস্টাইন বাসী।তাই যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। হামাসের রকেট হামলার সমালোচনা করে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে ভারত। যুদ্ধ পরিস্থিতি আটকাতে মরিয়া ভারত সহ্য চিন । ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে রেজোলিউশন আনতে চায় চিন ও রাশিয়া। পাশে না গিয়া যুদ্ধ থামতে একত্রে ইসরায়েলকে চাপ দিয়ে হবে আমেরিকা কেও। প্রয়োজনে আটকাতে হবে ইসরায়েলকে সাক্ষর করা তিন বিলিয়ন ডলারের মার্কিন আর্থিক সাহায্য মত বিশ্লেষকদের।