মৈনাক শর্মা
করোনা তাণ্ডবে পৃথিবীর অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। মৃত্যু মিছিলে পরিণত হয়েছে গোটা দুনিয়ার দেশ ।তারই মধ্যে ইসরাইল ও প্যালেস্টাইনের সংঘর্ষে হতাহতর সংখ্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। দুই গোষ্টীর লড়াইতে প্রাণ হারায় ৩২ জন , যার মধ্যে রয়েছে ভারত পূত্রি সৌম্য সন্তোষ। সৌম্য কেরলের বাসিন্দা। পেশায় নার্স।
ঠিক কি হয়েছিল?
ঘটনার শুরু মে মাসের ৬ তারিখ থেকে। সংঘর্ষ শুরু হয় ইসরাইল ও প্যালেস্টাইনের আন্দোলন কারীর সাথে। ফলে জেরুসালেমের শেখ জাররাহ কাছে হাতাহাতি হয় ইসরাইল পুলিশ ও আন্দোলন কারীদের সঙ্গে। পড়ে বিদ্রোহ আরো বাড়লে একদল আন্দোলনকারি প্রাণ বাঁচাতে ঢুকে পড়ে আল অক্সা মসজিদে। কিন্তু তাতেও রেহাই হয়নি, আন্দোলন থামাতে ওই মসজিদে পুলিশ পৌঁছালে শুরু হয় সংঘর্ষ। ফলে নির্দোষ সহ আহত হয় ১৩৬ জন।
এই ঘটনার পর ২০০ বেশি রকেট হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের জঙ্গী সংগঠন হামাস। ঘটনায় নিহত হয় ৩২ জন। জবাবে গাজা ভূখণ্ডে এয়ার স্ট্রাইক করে ইসরায়েল। গুড়িয়ে যায় ৯ তলের বিল্ডিং।
দুই দলের সংঘর্ষের কারণ ?
দুই দলের সংঘর্ষের ঘটনা নতুন নয়। রয়েছে পুরনো ইতিহাস। ১৯৪৮ সালে আরব ও ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ হলে , যুদ্ধে জয় হয় আরবের । ফলে জেরুজালেম দখল করে আরব। পরবর্তী সময়ে জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকা জর্ডানকে দেয় আরব। আমেরিকার সাহায্যে ওই এলাকায় প্যালেস্টাইন বাসীর জন্য ২৮ টি ঘর তৈরি করে জর্ডান। কিন্তূ ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ওই অঞ্চল আবার দখল করে ইসরাইল।
সম্প্রতি জেরুজালেমের শেখ জাররাহ অঞ্চল ইসরায়েলের বাসীর ঘোষণা করে , ,প্যালেস্টাইনের বাসিন্দাদের এলাকা খালি করতে নির্দেশ দেয় ইসরাইল সুপ্রিম কোর্ট । যার ফলে বার বার সংঘাত সৃষ্টি হয় দুই দলের মধ্যে।
তবে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে রাষ্ট্র সংঘ। শান্তির জন্য নিযোজিত করে প্রতিনিধি টর ওয়েনসল্যান্ড কে। ইসরায়েল ও হামাস্ দুই পক্ষ কেই সতর্ক করে তিনি। পরিস্থিতি যাতে কোনো ভাবেই যুদ্ধের দিকে না গড়ায়, তাই অবিলম্বে হিংসা থামাতে নির্দেশ দেন টর।