মৈনাক শর্মা
করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের দাপট কমতে না কমতেই তৃতীয় ওয়েভের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। সেই তুলনায় করোনা মোকাবিলার অস্ত্র হিসেবে টিকার জোগান দিতে পারছে না কেন্দ্র। কোথাও টিকা করন সম্পুর্ণ বন্ধ। কোথাও টিকা দেওয়া হলেও দ্বিতীয় ডোজের জন্য করতে হচ্ছে অপেক্ষা। ব্লুমবার্গ সংস্থার মতে ভারতের টিকার প্রটি দিন উৎপাদন গড়ে ২০.৯৪ লক্ষ ডোজ। টিকা পেয়েছে মোট ২০ কোটি মানুষ, যার মধ্যে কেবমাত্র ১৫.৭১ কোটি জন পেয়েছে প্রথম ডোজ ও ৪.৩৫ কোটি মানুষ পেয়েছে দ্বিতীয় ডোজ। এই হারে টিকার প্রক্রীয়া চলতে থাকলে ৭৫ শতাংশ জনগণকে টিকা দিতে সময় লাগবে আড়াই বছর।অন্য দিকে ফাইজার ও মডেরনা ভ্যাকসিন আসার আলো দেখলেও এই টিকা পেতে অপেক্ষার সারিতে অনেক দূরে রয়েছে ভারত। কারণ দিল্লির আগে ভ্যাকসিন কেনার সারিতে আছে আমেরিকা, রাশিয়া ও জাপানের মত বড় দেশ গুলী।

অর্থাৎ ভারতীয়দের জন্যে রয়েছে লম্বা অপেক্ষা। তাই টিকার জন্যে নতুন ধরনের গাইড লাইন জারী করে এন ই জি ভী এ সি।

কি এই গাইড লাইন?

National Expart on vaccine Administration for COVID-19 সংস্থার মতে অস্ট্রাজেনকার কভিদশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজের জন্য করতে হবে তিন মাসের অপেক্ষা। কোভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের করতে হবে জন্যে ৪ থেকে ৫ সপ্তাহের অপেক্ষা।

প্রথম ডোজ নেওয়ার পরেই করোনা তে আক্রান্ত হলে সম্পুর্ণ সেরে ওঠা র তিন মাস পরই পাওয়া যাবে দ্বিতীয় ডোজ। সেক্ষেত্রে পুনরায় প্রয়োজন নেই অ্যান্টি বডি টেস্টর।

বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রথম ডোজ নেওয়ার পরেই দ্বিতীয় ডোজের জন্য করতে হচ্ছে অপেক্ষা। সেক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ১২ সপ্তাহের পর কভিদশিল্ডের কার্যকরী ক্ষমতা ৮১.৩ শতাংশ হয়েছে যা ৬ সপ্তাহের তুলনায় (৫৫.১%) বেশী। অন্য দিকে কোভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ৪৫ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ নিলে ৮০ শতাংশ বাড়ছে কার্যকারিতা।

কঠিন রোগে আক্রান্ত বা অন্য রোগে হাসপাতালের আই সি ইউত ভর্তি বেক্তির ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ব্যাবধান হবে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী টিকা নেওয়ার ১৪ দিন পর থেকেই করা যাবে রক্ত দান।
আপাতত অপেক্ষা থাকলেও প্রথম ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজের ব্যাবধান নিয়ে চিন্তার বিষয় নয় বলেই জানায় কেন্দ্র সাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version