কলকাতা ব্যুরো: দক্ষিন চিন সাগরে চিনের বাড়বাড়ন্তের জের। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মিত টহল দেওয়ার কথা জানালো ভারতীয় নৌ বাহিনী। জানা গিয়েছে ২ মাস ধরে চলবে এই টহল। তবে নৌ বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, “অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি” মেনে এবং বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার কথা মাথায় রেখেই ভারতীয় নৌ বাহিনীর ইস্টার্ন ফ্লিট মোতায়েন থাকবে দক্ষিন সাগরে। এছাড়াও রণবিজয়, শিবালিক, করভেট কাডমাট ইত্যাদি রণতরী টাস্ক ফোর্সের মধ্যে থাকবে বলে খবর।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চিন সাগরের ৯০ শতাংশ অংশ নিজেদের বলে দাবি করে চিন। এই এলাকায় অ্যান্টি এয়ার ক্রাফ্ট ক্যারিয়ার ডিএফ ২১ডি ও ডিএফ-২৬এর বিস্তৃতিও পরীক্ষা করেও দেখছে তারা। অন্যদিকে, চিনের বিরুদ্ধে নয়া ফ্রন্ট খুলে দক্ষিণ চিন সাগরে দু’টি রণতরী পাঠাচ্ছে আমেরিকা। সেখানে সামরিক মহড়া করবে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিত্জ ও ইউএসএস রোনাল্ড রিগান।

তবে চিন এসসিএল এলাকায় ক্রমাগত অগ্রসর হচ্ছে। ফিলিপাইনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কও তলানিতে ঠেকেছে। গত শুক্রবার দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা নৌবাহিনীর মহড়ার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ফিলিপাইন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতির টেলিফোনে কথোপকথনের পরই দক্ষিণ চিন সাগর অঞ্চলে ফিলিপাইনের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি।

উল্লেখ্য, গত বছর ভারত, আমেরিকা, ফিলিপাইন এবং জাপানের নৌবাহিনী দক্ষিণ চিন সাগরে যৌথভাবে শক্তি প্রদর্শন করেছিল। ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি রদ্রিগো ডুটারের সঙ্গে নমোর সাম্প্রতিক কথোপকথন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে কারণ এটি এলএসি এবং দক্ষিণ চিন সাগর অঞ্চলে চিনের কঠোর অবস্থানের প্রেক্ষাপটে দিল্লি ও ম্যানিলার মধ্যে বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version