কলকাতা ব্যুরো: দোহায় দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেনি তালিবান। শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয়নি। বরং আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়েছে। আর সেই কারণেই তৎপরতার সঙ্গে আফগান মুলুক থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক শেষে জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে প্রত্যেক আটকে পড়া ভারতীয়কে ফেরানো হবে’।

এদিন বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ষণ শ্রিংলা বলেন, ভারত এই মুহূর্তে ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি অবলম্বন করেছে। আফগানিস্তানে তালিবানি শাসনের ক্ষেত্রে বিশ্বের বাকি দেশগুলির মতোই ভারতের অবস্থান। তালিবান সরকারের কী নীতি তা আগে দেখা হবে। তারপরেই বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে দ্রুত গতিতে ভারতীয় এবং আফগানদের সরিয়ে আনতে পারার জন্য কেন্দ্রকে অভিনন্দন জানিয়েছে সবকটি দল।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১১টা থেকে ওই বৈঠক শুরু হয়েছিল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এস জয়শঙ্কর, NCP প্রধান শরদ পওয়ার, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। আফিগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য এদিনের বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ওই বৈঠকের পরেই আরও স্পষ্ট আফগানিস্তান প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান। অবশ্য আফগানিস্তান নিয়ে অবস্থান আগেই বেশ খানিকটা স্পষ্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিকে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলিও তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে না। এই পরিস্থিতিতে কাবুলের সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যতে সম্পর্ক কেমন হবে, বর্তমানে সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে ভারতের অবস্থানই বা কী হতে চলেছে, এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় প্যানেলের বৈঠকের ডাক দিয়েছিল কেন্দ্র। তবে তালিবান ইস্যুতে ভারত সরকারের পাশেই রয়েছে তৃণমূল। কেন্দ্রের অবস্থানকেই সমর্থন জানাবে তারা। বৃহস্পতিবার আফগানিস্তান নিয়ে সর্বদল বৈঠকে যোগ দিয়ে এমনটাই জানালেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ও সৌগত রায়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌগত রায় বলেন, ‘এই ইস্যুতে আমরা সরকারের পাশে আছি। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে জাতীয় স্বার্থে সকলকেই একত্রে থাকতে হবে। একইরকম বার্তা দিতে হবে সকলকে। সেই বক্তব্যই আমরা বৈঠকে জানিয়েছি।’

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version