কলকাতা ব্যুরো: সম্ভবত গত এক দশকে সবচেয়ে বেশি বরফ পাত দেখলো ভুটানের রাজধানী থিম্পু। গত দুদিন ধরে বরফের চাদর বিছিয়েছে থিম্পু, পারো, হা, গারা, ভূতন্থাং সহ বিভিন্ন এলাকায়। পরিস্থিতি এলাকাগুলিতে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে সরকারি আধিকারিকদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ভারত- ফুন্ট সিলিং থেকে থিম্ফু হাইওয়েতে পথের মাঝে মাঝে প্রবল বরফে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিপুল পরিমাণ বরফে একরকম উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে ভুটানের নাগরিকদের কাছে।

যদিও প্রতিবেশী রাষ্ট্র এমন বরফের পাহাড় দেখে আনন্দে উদযাপনের উপায় নেই ভারতীয় পর্যটকদের কারণ করোনা আবহে এখনো ভুটান সরকার পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয় নি।পাহাড় ঘেরা ভুটানে ২০১৮ সালে গারা এলাকায় ১২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বরফ পড়েছিল। যা সাম্প্রতিক অতীতে ভুটানের বরফপাতের রেকর্ড সৃষ্টি করে। কিন্তু এবার ভুটানের হা এলাকায় ২৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বরফ চাদর বিছিয়েছে। থিম্পুতে ৯ সেন্টিমিটার বরফ পড়েছে। পারোতেও প্রবল বরফপাত হয়েছে। ফলে সমস্ত রকম অফিস কাছারি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভুটান রয়েল পুলিশ নাগরিকদের অযথা বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছে।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরও তাদের ফেসবুক পেজে, নাগরিকদের বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রে সতর্ক করেছে কারণ ভুটানের বহু রাস্তা জায়গায় জায়গায় বরফ পড়ে গাড়ি চলাচলের যথেষ্ট বিপদজনক হয়ে রয়েছে। প্রবলভাবে পিচ্ছিল রাস্তা গাড়ি চালাতে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর নাগরিকদের বরফ পাত দেখে বাড়িতেই খুশিতে দিন কাটানোর পরামর্শ দিয়েছে।

সে দেশের নাগরিকরাও এমন বরফের চাদর বিছানো আগে থিম্পুতে অন্তত দেখেননি। তাই তারা তাদের মত করে বাড়ির সামনে জমে থাকা বরফের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে চলছেন। ভুটানের বৌদ্ধ গুম্ফাগুলির সঙ্গেই রাস্তাঘাটে জমে থাকা বরফের রং মিশে সব সাদা হয়ে রয়েছে। নাগরিকরা আনন্দের আতিশয্যে বরফ দিয়ে বুদ্ধমূর্তি বানাচ্ছেন, খেলার ছলে নিজেদের মধ্যে বরফ ছোঁড়াছুঁড়ি করছেন। সেই ছবি তারা পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সব মিলিয়ে এ দেশের দার্জিলিং, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ বা কাশ্মীরের মত ভুটানে বছরের শেষে প্রবল বরফপাত রীতিমতো আলোচনা বিষয় হয়ে উঠেছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version