কলকাতা ব্যুরো: চৈত্রের আগমনীতে গ্রীষ্মের দাপটের পূর্বাভাস। অস্বস্তি এখনও সেভাবে শুরু না হলেও তা যে আর বেশি দূরে নয় তার ইঙ্গিত বেশ ভালই মালুম হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা এখন আর নিচের দিকে নামবে না। তবে যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে চলতি সপ্তাহেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হতেই পারে। কিন্তু তাপপ্রবাহের কথা এখনই বলতে পারেনি হাওয়া অফিস কারণ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছোঁয়ার কোনও লক্ষণ এখনই নেই। আপাতত জলীয়বাষ্প কম থাকায় অস্বস্তির সূচক নিচে থাকবে। জেলায় জেলায় শীতের আমেজ কিছুটা বেশি হলেও কলকাতা সহ শহর ও শহরতলীতে শীতের আমেজ খুব সামান্যই অনুভূত হবে। সেখানে শীতবস্ত্রের আর প্রয়োজন হবে না।
বুধবার রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩২ ও ২১ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তাই এদিনও গরমের অস্বস্তি বেশ ভালোই ছিল। তবে আগামী কয়েকদিন ঝড় বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করেছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। কেরালার উপকূলের ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি অক্ষরেখা কঙ্কন পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। যা কর্নাটকের উপর দিয়ে গেছে। এছাড়াও গুজরাট এবং বাংলাদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত বিস্তৃত রয়েছে। তবে এই ঝঞ্ঝার প্রভাবে লাদাখ ও উত্তরাখণ্ডে হালকা তুষারপাত ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও চন্ডিগড়ে।
অন্যদিকে অক্ষরেখার প্রভাবে এবং ঘূর্ণাবর্তের জেরে আগামী চার থেকে পাঁচ দিন কেরল এবং কর্ণাটকের উপকূল এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতি ও শুক্রবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এবং দমকা ঝড়ো হাওয়া বিতে পারে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকায়।