কলকাতা ব্যুরো : উচ্চমাধ্যমিকে সিলেবাস যে কাটছাঁট হবে সেই প্রস্তাব ইতিমধ্যেই সংসদে জমা পড়েছে। জানা গেছে করোনার কথা ভেবে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সিলেবাস কম করার প্রস্তাব সংসদে ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে। কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার কি হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয় নি।

বিজ্ঞান ও কলা বিভাগে বেশ কিছু বিষয় হাতে কলমে বা প্র্যাক্টিক্যাল হয়ে থাকে প্রতি বছর। বিজ্ঞানের মধ্যে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি এবং কলা বিভাগে ভুগলে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা হয়। কিন্তু অতিমারির মধ্যে অন্য সব বিষয় নেট মারফৎ ক্লাস হলেও প্রাকটিক্যাল কোনো ক্লাসই হচ্ছে না। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩০ নম্বর থাকে এই প্রাকটিকালে। এই প্রাকটিক্যাল কি ভাবে দেওয়া যাবে বা ক্লাসে যদি সেখান না হয় তাহলে ছাত্র ছাত্রী রা এই হাতে কলমে বিষয়গুলি কি ভাবে পরীক্ষা দেবে সে নিয়ে বেশ চিন্তিত উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিকরা। যদি ও এখনই তাদের পক্ষ থেকে এই বিষয় কোনো মন্তব্য করা হয় নি। এখনও ২০২১ সালের উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা সূচি ঘোষিত হয় নি। তবে সংসদের তরফে শিক্ষা দফতরকে জুন মাসে পরীক্ষা নেবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে সে ক্ষেত্রে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা অন্য রাজ্য গুলি কবে নিচ্ছে সে দিকে তাকিয়ে আছে উচ্চ শিক্ষা দফতর।

তবে হাতে কলমে শিক্ষা বা প্র্যাক্টিক্যাল নিয়ে এখন বেশি চিন্তিত উচ্চশিক্ষা দফতর। প্রজেক্ট ওয়ার্ক সব বিষয়ে আছে। তবে প্রজেক্টের খাতা নেওয়া ও নম্বর দেওয়া খুব একটা শক্ত নয় এই পরিস্থিতিতেও। সেটা ছাত্র ছাত্রীরা জেনে গেলে বাড়িতে বসে করে কোনোভাবে বিদ্যালয়ে জমা দিতে পারে। একাদশ শ্রেণীর রেজাল্ট বেরোনোর পর এখনও পর্যন্ত স্কুলে গিয়ে উচ্চমাধ্যমিক এবার যারা দিতে চলেছে তারা ক্লাস করে নি। নেট বা হোয়াটস অ্যাপ এর মাধ্যমে কিছু ক্লাস চললেও প্র্যাক্টিক্যাল বিষয়ের ক্লাস গুলি এখনও পর্যন্ত শুরু করা সম্ভব হয় নি। ল্যাবরেটরি ছাড়া এই বিষয় ক্লাস করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। পরীক্ষা যবেই হোক ক্লাস না করিয়ে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা দেওয়া কি ভাবে সম্ভব তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সংসদ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version