কলকাতা ব্যুরো : পুজোর ভিড়ের অশনিসংকেত আগেই দেখেছিলেন। বারবার সাধারণ মানুষকে আবেদন-নিবেদনও করেছিলেন। শুক্রবার বিভিন্ন পুজা কমিটিগুলোর কাছে অবশেষে চিঠিতে বহু চিকিৎসক স্বাক্ষর করে অনুরোধ করেন। মূলত পাবলিক হেলথের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা এই উদ্যোগ নেন। বলেন পড়ার পুজো পাড়াতেই থাক। অন্ততঃ এই বছরটা। ভিড়ে সংক্রমণ বাড়বে এই আশঙ্কা থেকেই এই খোলা চিঠি দেওয়া হয় চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। ছোটো বড়ো সব উদ্যোক্তাদের এই চিঠি দেন চিকিৎসকরা। তাদের সঙ্গে সহমত হন সন্তোষ মিত্র ক্লাবের মতো অনেক নামকরা পুজো কমিটিও।
এরপর আজ আদালতের রায় অনেকটা স্বস্থি দিল চিকিৎসকদের। আজ কলকাতা হাইকোর্ট ছোটো বড়ো সমস্ত পুজোকে নো এন্ট্রি বাফার জোন ঘোষণা করে। পরিষ্কার করে জানিয়ে দেয় ছোটো বড়ো সব মণ্ডপ সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য নো এন্ট্রি। হাইকোর্টের রায়ে উজ্জীবিত চিকিৎসক মহল কারণ তারা এই ভিড়ে মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছিলেন। ইউনাইটেড ডক্টরস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে যে চিঠি দেওয়া হয়, তাতে গত সাত মাসে নিয়মিত পরিষেবা দিয়ে আসা চিকিৎসকদের কথা উল্লেখ করা হয়। জানানো হয় সামনের সারিতে থেকে করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে অনেক চিকিৎসকের প্রাণ গেছে। মানুষের কোনো ভুল পদেক্ষেপ এই বিপদ আরো বাড়িয়ে দেবে। আদালতের রায়ের পর এবার জানা গেছে এই চিকিৎসক সংগঠন আরো ও উজ্জীবিত হয়ে সসরিরে পঞ্চাশটি পুজো কমিটির কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের অনুরোধ রাখবেন।