কলকাতা ব্যুরো: রাজ্য সরকার দুর্গা পুজো করার জন্য রাজ্যের ৩৪ হাজার উদ্যোক্তাকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছিল। সেই টাকা পুজোর জন্য আর খরচ করা যাবে না। সে নির্দেশ শুক্রবার দুপুরে দিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেখানে কোন কোন খাতে এই টাকা খরচ করা যাবে, তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। সেখানে হাইকোর্টের নির্দেশ মানতে কি কি করতে হবে তাও রাজ্য সরকার এবং রাজ্য পুলিশকে বুঝিয়ে দিয়েছে আদালত তার রায়ে। আর হাইকোর্টের নির্দেশ থেকে বাদ পড়েনি পুজোর উদ্যোক্তারাও।
হাইকোর্ট শুধু সরকারকেই নির্দেশ মানার কথা বলেনি, হাইকোর্ট ক্লাবগুলিকেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, এইভাবে জনগণের টাকা পুজোর জন্যে ব্যবহার করা যাবে না। ২৫ শতাংশ টাকা পুলিশ এবং জনগণের সমন্বয়ের জন্য খরচ করতে হবে। আর এখানেই উদ্যোক্তাদের প্রশ্ন, কিভাবে টাকা খরচ করা হবে, আর কিভাবে তার বিল দেখাতে হবে, তা তারা অধিকাংশই বুঝে উঠতে পারছেন না।
মাঝারি ও ছোট পুজোর উদ্যোক্তা উদ্যোক্তাই এবার চাঁদা তোলার পথে হাঁটেননি। কিন্তু হাইকোর্ট ওই টাকা যেভাবে খরচ করতে বলছে, তাতে কিভাবে বিল পাওয়া যাবে সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না।
অন্যদিকে মাঝারি ও ছোট পুজোর উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, সরকার যে টাকা দিয়েছে তা দিয়ে তাদের পুজো চারদিন ধরে মোটামুটি হয়ে যায়। সেখানে সেই টাকার ৭৫ শতাংশ দিয়ে যদি মাস্ক আর স্যানিটাইজার কেনা হয়, তা বা কারা নেবেন আর এত মাল কিনলে তাহলে পুজো করবেন কোন টাকায়, তা ভেবেই এখন অস্থির একেবারে মাঝারি ও ছোট পুজোর উদ্যোক্তারা।
এদিন হাইকোর্টের রায় তাদেরও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই টাকার যা যা খরচ হচ্ছে তার প্রয়োজনীয় নথি থাকা বাধ্যতামূলক। এই অবস্থায় তারা আবার চেয়ে রয়েছেন সরকারের দিকে। তাদের অনেকেই ইতিমধ্যে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করেছেন, টাকা খরচের ব্যাপারে পরামর্শ চেয়ে। কিন্তু পুলিশ এখন ও এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে তাদের কিছু জানাতে পারেনি। ফলে হাতে ৫০ হাজার টাকা পেয়েও এখন কোন ও কোন ও পুজো উদ্যোক্তা বলছেন, এত ঝামেলার থেকে টাকা না দিলেই মনে হয় ভাল হত। তারা এখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি, প্রবাদ আওড়াচ্ছেন।