কলকাতা ব্যুরো: শুরু হলো নতুন ইনিংস। জীবনে প্রথমবার তৃণমূলের হয়ে মাইক তুলে নিলেন বাবুল সুপ্রিয়। আর প্রথমেই ফাঁস করে দিলেন, কেন বিজেপি ছাড়লেন তিনি? কেন তৃণমূলের এলেন? তাঁর কথায়, জীবন তাঁকে একটা নতুন নতুন সুযোগ দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ধেয়ে এল, পরের পদক্ষেপ কী! বললেন, বড় সুযোগ এসেছে। খুশি মনে তা গ্রহণ করেছেন তিনি। কিন্তু সুযোগটা কী? সেই রহস্য কিন্তু জিইয়ে রাখলেন বাবুল। রাজ্যসভার সাংসদ পদ নাকি কোনও বিধায়ক পদ? মুচকি হেসে মুখ বন্ধই রাখলেন বাবুল সুপ্রিয়।

বাবুল সুপ্রিয় নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এদিন বলেন, আমাদের জীবনে বহু ঘটনা ঘটে। তা থেকে মনে যা হয় সেভাবেই আমরা প্রতিক্রিয়া দিই। আমি হয়তো গায়ক বলে কিছুটা আবেগপ্রবণ কিন্ত রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্তটা ঝোঁকের মাথায় ছিল না। কিন্তু সেই সন্ন্যাস ভেঙে কেন তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন? বাবুলের এক কথায় উত্তর, “প্লেইং ইলেভেন এ থাকতে চাই।” অর্থাৎ প্রথম একাদশে সুযোগ চান তিনি।

বাবুল এদিন স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন বিজেপিতে তিনি কোনঠাসা হয়ে পড়ছিলেন। এরপরই সাংবাদিকদের প্রশ্ন তাহলে কি মন্ত্রীত্ব হারানো নিয়ে ক্ষোভ নাকি কাজ করতে না পারা, ক্রোধের মূল কারণটা কোথায়? বাবুল ভেঙে বললেন না।

তা বলে অবশ্য ইতিহাসকে অস্বীকার করতে চাইছেন না বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর কথায়, যখন যেটা করি তখন সেটা মন দিয়ে করি। অতীতের কোনও পোস্ট ডিলিট করব না। কিন্তু গাঁটছড়াটা কে কবে বাঁধল? বাবুল বলছেন, মাত্র চার দিন আগে ডেরেক ওব্রায়েন সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। পুরো বিষয়টাই তার কাছে খুব অনুপ্রেরণার ছিল সেই করণেই এই সিদ্ধান্ত নেন।

পাশাপাশি এদিন সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারে বাবুল স্পষ্ট জানালেন, বুধবারই স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগ করতে চান তিনি। বাবুলের আরও যুক্তি, আমি একটি সুযোগে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছি। এই সুযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করে দিয়েছেন। বাবুল জানান, তৃণমূলের থেকে তিনি প্রাণ ভরা ভালবাসা পাচ্ছেন।

অন্যদিকে তৃণমূলে যোগদানের পর থেকেই ট্রোলিং চলছে। বিন্দুমাত্র না দমে বাবুল বলছেন, ভালোবাসা আর যুদ্ধে সবটাই জায়েজ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version