কলকাতা ব্যুরো: পুলিশ আমাদের হুমকি দিচ্ছে। ভয় দেখাচ্ছে। এখনো ভয়ে ভয়ে আছি, বললেন হাতরসে নির্যাতনে মৃত তরুনীর মা মঙ্গলবার এর পর শনিবারই প্রথম জনরোষের চাপে সংবাদমাধ্যমকে নির্যাতিতার পরিবারের সামনে যেতে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। তখনই সংবাদমাধ্যমের কাছে এ কথা বলেন নির্যাতিতার মা। তার পরিবারের অভিযোগ, তাদের না জানিয়েই দেহ জ্বালিয়ে দিয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে জেলাশাসক তাদের হুমকি দিয়েছিলেন বলেও এদিন অভিযোগ করেন পরিবার। সেদিন জেলাশাসক হুমকি দিয়ে তাদের বক্তব্য বদল করতে বলেছিলেন বলেও এদিন অভিযোগ করেন পরিবারটি। যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তা যে সত্যি, তা আবারও এদিন জানিয়ে ডেইয় পরিবারটি।

জেলাশাসক তাদের বলেছিলেন, আপনাদের মেয়ে করোনায় মারা গেলে তো ক্ষতিপূরণ পাওয়া যেত না। এখন মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। কারো সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রেও পুলিশ প্রশাসন নিষেধ করেছে বলে জানিয়েছে পরিবারটি। তাদের ফোনে নজর রাখা হচ্ছে। এমনকি বাড়ির ফোন বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার পরিবারের ফোন বন্ধ করে রাখার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে হাথরাসের সদরের এস ডি এম প্রেম প্রকাশ মিনা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ফোন বন্ধ করে রাখার কথা বলার যে অভিযোগ উঠেছে তা একেবারেই মিথ্যা। আমরা এমন কিছু পরিবারটিকে বলিনি।

এদিকে আজ একটু পরেই রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের একটি দলের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা। যদিও এসডিএম মিনা বলেছেন, এখন শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমেই গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে। পরবর্তী নিদের্শ পাওয়া গেলে তখন অন্যান্য প্রতিনিধিদের গ্রামে যাওয়ার অনুমতি দেবে পুলিশ।

সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে প্রবল চাপের মুখে পড়ে অবশেষে হাত রাসে নির্যাতিতার গ্রামে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হল সংবাদমাধ্যমকে। শনিবার সকালে একসঙ্গে পাঁচটি করে সংবাদমাধ্যমকে গ্রামে ঢোকার অনুমতি দেয়। পুলিশ বলেছেন, সিটের প্রাথমিক তদন্ত কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন সংবাদমাধ্যমের ঢোকায় কোনো বাধা নেই। তবে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version