কলকাতা ব্যুরো: যত বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসছে, ততোই উত্তাপ বাড়ছে রাজনীতির। গত কয়েকদিনে হুগলির আরামবাগ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গোসাবায় রাজনৈতিক গোলমাল এবং তাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে যথেষ্টই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এই অবস্থায় সোমবার দুই জেলার পুলিশ সুপার এবং দুই মহাকুমা অফিসারকে বদলি করা হলো।

হুগলির গো ঘাটে বিজেপি এবং তৃণমূল গোলমালকে কেন্দ্র করে চরম গন্ডগোল বাধে। স্টেশনের পাশে থেকে এক বিজেপি কর্মীর গাছ ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। তারপরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে বিজেপি। তাকে কেন্দ্র করে রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর হয়। অন্যদিকে বিজেপির সঙ্গে গোলমালে গোসাবার রাধানগর তারানগর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে আনা তৃণমূল সমর্থকদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ এবং থানায় হামলা ভাঙচুরের অভিযোগে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলমাল হয়। তৃণমূল অবশ্য বিজেপির দিকে অভিযোগ করে।

ঘটনাচক্রে এরপরেই সোমবার ওই দুই জায়গার পুলিশকর্তাদের বদলি করে দিল রাজ্য সরকার। একদিকে আরামবাগের এসডিপিও নির্মল কুমার দাসকে মালদা জিআরপি -ডিএসপি করে পাঠানো হলো। আবার ক্যানিংয়ের এসডিপিও দেবীদয়াল কুন্ডুকে সরিয়ে বীরভূমের ডিএসপি পদে সরিয়ে দেওয়া হলো। গোসাবা যেমন ক্যানিং মহকুমার অধীন তেমন ক্যানিং আবার বারুইপুর পুলিশ জেলার অধীনে রয়েছে। গোটা ঘটনায় পরেই বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খানকে সেখান থেকে সরিয়ে যাদবপুরের ডিসি পদে আনা হয়েছে। আবার হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার তথাগত বসুকে সেখান থেকে সরিয়ে বিধাননগর সিটি পুলিশের ডিসি পদে বসানো হয়েছে। বারুইপুর এসপি করা হয়েছে কামনা শীষ সেনকে। অন্যদিকে হুগলি গ্রামীনে আনা হয়েছে অমন্দীপকে। রাজ্য পুলিশের থেকে অবশ্য বদলি রুটিন মাফিক বলে দাবি করা হয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version