কলকাতা ব্যুরো: শুক্রবার দিনেদুপুরে একেবারে ফিল্মি স্টাইলে দিল্লির রোহিণী কোর্টের ভিতরেই মামলা চলাকালীন তান্ডব চালালো গ্যাংস্টাররা ৷ এলোপাথাড়ি গুলিতে জিতেন্দ্র গোগি, এক গ্য়াংস্টার সহ কমপক্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের গুলিতেও ২ আততায়ীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে উত্তর দিল্লির রোহিণী আদালতে কুখ্য়াত গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগি(৩৭)-কে আনা হয়। ২৩৭ নম্বর ঘরে চলছিল শুনানি ৷ সেই সময়ই গোগীর বিরোধী গোষ্ঠী টিল্লুর গ্যাংয়ের দু‘জন দুষ্কৃতী উকিলের পোশাকে ছদ্মবেশে আদালতে ঢোকে ৷ জানা গিয়েছে, এদিন কাঠগড়ায় ওঠার পর ২৩৭ নম্বর ঘরের কাছে গিয়ে গোগীর উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তারা ৷ তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরাও গুলিবিদ্ধ হয়। ওই গ্যাংস্টার সহ কমপক্ষে তিন জনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে।
কুখ্যাত দুষ্কৃতী জিতেন্দ্র গোগিকে আজ দিল্লির রোহিণী কোর্টে পেশ করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল ৷ জবাবে পুলিশও গুলি চালায় ৷ পুলিশের গুলিতে দু‘জন হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে ৷ গুরুতর আহত হয় গোগী ৷ পরে তারও মৃত্যু হয় ৷ প্রসঙ্গত, আদালতে প্রবেশের জন্য কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পার করে ঢুকতে হয়। তবে পুলিশের নজর এড়িয়ে কীভাবে আদালতের ভিতরে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ল গ্যাংস্টাররা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আপাতভাবে মনে করা হচ্ছে, জিতেন্দ্র গোগির প্রতিপক্ষ গ্যাং-ই এই হামলার পিছনে রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আইনজীবীদের পোশাকে আততায়ীরা ঢুকে পড়েছিল। গোগীকে এজলাসে তুলতেই তাঁকে সামনে থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। দুই দুষ্কৃতীরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জিতেন্দ্র গোগী মূলত দিল্লির বাইরে পানিপথ ও হরিয়ানার আশেপাশে নানা সমাজবিরোধী কার্যকলাপ চালাতেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ২৪টি খুনের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে তিনি তিহার জেলে বন্দি ছিলেন। তাদের সবথেকে বড় প্রতিপক্ষ টিল্লুর গ্যাংই এই হামলা চালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের কমিশনার রাকেশ আস্থানা।
অন্যদিকে জিতেন্দ্র গোগির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের পুলিশ। আততায়ীর গুলিতে দুই পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
