কলকাতা ব্যুরো: দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে দলীয় কর্মীদের লড়াই করার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার্তা দিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার। প্রতিষ্ঠা দিবসের সকালে তৃণমূল নেত্রী টুইট করে বললেন, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে আমার কর্মীদের এবং মা-মাটি-মানুষ পরিবারের সব সদস্যকে শুভেচ্ছা। ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি আমরা যাত্রা শুরু করি। তখন থেকেই সাধারণ মানুষের সেবায় আমরা নিয়োজিত। মানুষের জন্য কাজ করে চলেছি।
তৃণমূল নেত্রী এরপরই কর্মীদের একজোট হয়ে অসাম্যের বিরুদ্ধে লড়ার বার্তা দেন। বলেন,আমরা নতুন একটা বছরে পা দিচ্ছি, চলুন প্রতিজ্ঞা করি আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করব। আমরা একে অপরকে সম্মান করব। চলুন দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমরা লড়াই করি।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে টুইট করে কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অভিষেক বলছেন, তৃণমূল পরিবারের নীতি আদর্শকে তুলে ধরার জন্য আমি কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। যারা মানুষের মৌলিক অধিকারে আঘাত হানার চেষ্টা করছে, তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস দেখানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এই মহান দেশের নাগরিকদের সেবায় আমরা যেন নিজেদের নিয়োজিত করে রাখতে পারি।
১৯৯৮ সালে মমতা যে তৃণমূলের বীজ বপন করেছিলেন, তা আজ মহীরুহ। রাজ্যে পরপর তিনবার ক্ষমতায়। রাজ্যের বাইরেও উত্থান হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের। বাংলার বাইরে আরও অন্তত ৪-৫টি রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই এবারে প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিন সকালেই তৃণমূল ভবনে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেও পালিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠা দিবস।
দলীয় সূত্রে খবর শুধু এরাজ্যে নয়, বাংলার বাইরেও অন্তত গোটা ছয়েক রাজ্যে পালিত হবে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটে প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের পরিকল্পনা রয়েছে এরাজ্যের শাসকদলের। এর আগে একুশে জুলাইয়েও তৃণমূল নেত্রীর ভাষণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।