কলকাতা ব্যুরো: থানার লকআপে ধৃতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুলকালাম চললো কুলটির বরাকর ফাঁড়িতে। যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে তুলে স্থানীয়রা ফাঁড়িতে হামলা চালায়। গাড়ি জ্বালানো হয় পুলিশের। মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় ডফায় খণ্ডযুদ্ধ চলে বরাকরে। বরাকরের বাসিন্দা মৃত মহম্মদ আরমান আনসারি (২৮) এবং তার এক সঙ্গীকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে সোমবার রাতে আটক করেছিল বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ফাঁড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধারের পরেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। এই ঘটনায় ছানার 2 অফিসার কে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরতেই বাসিন্দারা ফাঁড়ি ঘুরতে শুরু করে। আরমানকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বরাকর ফাঁড়ি ঘেরাও করে জনতা ইটপাটকেল ছোঁড়ে। পুলিশ তাদের সরিয়ে যেতে গেলে উত্তেজিত জনতা ওই ফাঁড়িতে রাখা একটা পুলিশের গাড়ি এবং দুটো মোটরবাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়।
গোলমাল বাড়তে থাকায় বাইরে থেকে পুলিশ আনা হয়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ, র্যাফ এবং কমব্যাট ফোর্স। এদিকে এই ঘটনায় আসানসোল – দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ অমরনাথ দাস এবং সাব ইন্সপেক্টর প্রশান্ত কুমার পালকে সাসপেন্ড করেন।
আরমানের বাড়ির লোকেরা এবং স্থানীয় মানুষ আসানসোল জেলা হাসপাতালে প্রথমে ওই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত বন্ধ করে দেয়। পরে ওই দুজনকে সাসপেন্ড করার পর এলাকায় উত্তজনা কমে। পুলিশ জানিয়েছে, এই পুরো ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত হবে। গতবছর লকডাউনে বীরভূমের মুরারই থানায় এক নাবালকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর, আসানসোলের বরাকর ফের তেমন ঘটনায় আবার হাইকোর্টের রোষে পড়ার আশঙ্কা করছেন শীর্ষ পুলিশ কর্তারা। কারণ সেবার ওই ঘটনার পর পুলিশ লক আপে মৃত্যুতে হাইকোর্ট একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছিল। তার কিছু পালন করা হলেও বহু কাজ এখনো হয়নি তেমনি সিসিটিভি বরাকার ফাঁড়িতে ছিল কিনা সেই প্রশ্ন এখন তুলতে শুরু করেছেন মৃতের আত্মীয়রা।