কলকাতা ব্যুরো: একটানা ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষ। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার কিছু সময় পর ছেলে আয়াংশকে কোলে নিয়ে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠতে দেখা যায়। ইডির তলবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৮ মিনিট নাগাদ সেখানে গিয়েছিলেন রুজিরা। বছর আড়াইয়ের ছেলে আয়াংশকে সঙ্গে নিয়েই তদন্তে সহযোগিতা করতে যান অভিষেকপত্নী। এদিন কয়লাপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল তাঁকে।  সূত্রের খবর, সব সামলে ৬ ঘণ্টা ধরে তদন্তকারী আধিকারিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন রুজিরা। 

সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, দিল্লিতে নয়, কলকাতায় জেরা করতে হবে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রীকে। সেই নির্দেশ মেনেই বুধবারই চিঠি পাঠিয়েছিল ইডি। নিরাপত্তা নিয়ে কলকাতা পুলিশকেও পাঠিয়েছিল চিঠি। এদিন সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে নিরাপত্তা ছিল আঁটসাঁট। পরিচয়পত্র ছাড়া কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীকে সিজিও কমপ্লেক্সের অন্যান্য অফিসেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, রুজিরাকে জেরা করতে দিল্লি থেকে বিশেষ তদন্তকারী অফিসাররা কলকাতায় এসেছেন এদিন সকালে। 

সূত্রের খবর, জেরা চলাকালীন ছোট্ট আয়াংশ সর্বক্ষণ মায়ের কোলে ছিল। তাকে কোল থেকে নামালেই কান্নাকাটি করেছে। তাই মায়ের কোলেই তাকে সারাক্ষণ রাখতে হয়েছিল। অভিষেক পত্নীকে এভাবে তদন্তে সহযোগিতা করতে দেখে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে অর্থনৈতিক হিসেবনিকেশ নিয়ে রুজিরাকে প্রশ্ন করা হয়। অনুপ মাজির প্রসঙ্গও তোলেন তদন্তকারীরা।

এদিনও রুজিরাকে তলব করা নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। কারও নাম না করে তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল নেতা-নেত্রীদেরই বারবার ইডি, সিবিআই তলব করছে। আর বিজেপির কাউকে কোনও মামলায় জেরাই করা হচ্ছে না। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।  

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version