কলকাতা ব্যুরো: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দায়ের হওয়া একের পর এক মামলা কলকাতা হাইকোর্ট খারিজ করেছিল। নির্বাচন কমিশন এই সময়ের মধ্যে করোনা ঠেকাতে হস্তক্ষেপ করবে বলে আশা রেখে হাইকোর্ট এর আগে বেশ কিছু মামলা খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু নতুন দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছে, সংবিধানে এমন কোনো এক্তিয়ার কমিশনের নেই, যেখানে কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত ক্ষেত্র ছাড়া কোন জায়গায় হস্তক্ষেপ করতে পারে।
একই সঙ্গে উঠে এসেছে বিহার মডেল প্রসঙ্গ। মামলায় বলা হয়েছে, যেভাবে নির্বাচন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ভোট কর্মীদের করোনা নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে পারে কমিশন, তার বাইরে কোথাও কমিশন হস্তক্ষেপ করতে পারে না। অথচ দেশের সঙ্গে এ রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা। আগামী এক মাস ধরে করোনা সংক্রমনের আশংকা থেকেই যাচ্ছে। অন্যান্য রাজ্য রাত কারফিউ বা লক ডাউন হবে কি না, এমন পলিসি ডিভিশন নিতে পারছে। কিন্তু এখানে ভোট চলায় কেয়ার টেকার সরকারের তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। এই অবস্থায় আদালতকেই হস্তক্ষেপ করার আবেদন করা হয়েছে। আবেদনকারীর বক্তব্য, একটি কমিটি গঠন করে তাদের হাইকোর্ট নির্দেশ দিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে।


মামলাকারীর আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, আদালতের কাছে দ্রুত মামলাটি শুনানির জন্য আবেদন করা হচ্ছে। কারণ যেভাবে কোন বিধি না মেনে ভোট প্রচার এবং ভিড় জমান হচ্ছে, তাতে আগামী ২ মে ভোটের ফল প্রকাশ পর্যন্ত রাজ্যের অবস্থা কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত সকলেই। দুদিন আগেই কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেছেন, করোনা বারার ক্ষেত্রে আগামী একমাস খুব স্পর্শ কাতর সময়। রাজ্যের চিকিৎসকদের সংগঠনও নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছে। কিন্তু তারপরেও রাজ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ নাগরিকদের।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version