কলকাতা ব্যুরো: ডিভিসির জল ছাড়ার জন্যই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের পক্ষে এমনই অভিযোগ তোলা হয়েছে। শুক্রবার রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটকও অভিযোগ করেছেন, আসানসোলের বন্যার জন্যেও ডিভিসির জল ছাড়াই কারণ। শুক্রবার রাতে পরিমাণ সামান্য কম করলেও জল ছাড়া বন্ধ করেনি ডিভিসি। সুতরাং বন্যা পরিস্থিতি কতটা উন্নত হবে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে মাইথন থেকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছিল। রাত ১০ টা ৪৫ মিনিট থেকে পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে ৬০ হাজার কিউসেক করা হয়। মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে ৫০ হাজার কিউসেক করা হয়। সামগ্রিক ভাবেও জল ছাড়ার পরিমাণের হার সামান্য কম হয়। মোট ১ লক্ষ ১০ হাজার কিউসেক হারে সারারাত জল ছাড়া হয়।

আজ, শনিবার সকাল থেকে মাইথন জলাধার থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ৬০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে ৷ কিন্তু ডিভিসির এই জল ছাড়া অব্যাহত থাকায় রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ আরও বাড়ছে কারণ, এই দুটি জলাধারের জল জমা হয় রাজ্য সরকারের দুর্গাপুর ব্যারেজে। সেখানে চাপ বাড়লে জল ছাড়তে বাধ্য হয় দুর্গাপুর ব্যারেজ।

অন্যদিকে ডিভিসির ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট ব্যারেজ থেকেও ক্রমাগত জল ছাড়া হচ্ছে। আর সেই জল এই রাজ্যে ঢুকছে। ফলে জল ছাড়ার ক্ষেত্রেও ডিভিসি কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেটাই দেখার। যে পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে প্রচুর পরিমাণে জল জমার কারণেই এই জল ছাড়া বলে জানিয়েছে ডিভিসি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version