কলকাতা ব্যুরো: গতবছরের মতো এ বছরও দুর্গাপুজো নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হলো জনস্বার্থ মামলা। করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা রয়েছেই, ফলে আগেরবারের মতোই দুর্গাপুজোর দিনগুলোয় জারি থাকুক কড়া নির্দেশিকা। এই মর্মে আদালতের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, গতবছর মহামারীর সময় হাইকোর্টের নির্দেশেই করোনা সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হয়েছিল। এই দাবি তুলে মামলাকারী এবছরও সেই নির্দেশ বহাল রাখার আবেদন জানিয়েছেন।
দুর্গা পুজো মানেই মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড়। কিন্তু, ভিড় থেকেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ভিড় নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যেই এই জনস্বার্থ মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলাকারী। তবে কি এবারও উৎসব কাটাতে হবে সেই ঘরে বসেই? প্রবেশ করা যাবে না দুর্গাপুজোর মণ্ডপে? তবে এই মামলার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জোর র্চচা।
উল্লেখ্য, গতবছর হাইকোর্টে দুর্গাপুজো নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন বাম সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। পুজো মণ্ডপে নো এন্ট্রি জারি হতেই বিকাশ ভট্টাচার্যকে কার্যত দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পুজো বন্ধ করার পেছনে তাঁকেই ‘ভিলেন’ বানানো হয়। যদিও পরে প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে পুজোর সমস্ত আয়োজন হয়। দুর্গাপুজোর দিনগুলোয় সরকারের সমস্ত নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে শহরবাসীরও সক্রিয় ভূমিকা চোখে পড়ে। ফলে উৎসবের মরশুমে বাংলায় সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। তবে এবারেও মণ্ডপে মণ্ডপে নো এন্ট্রি জারি থাকবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
উৎসবের মরশুমে দেশবাসীকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি না হয়, তার জন্য ভিড় নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে বলা হয়েছে রাজ্যকে। আগেই অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গতবছরের মতোই কোভিড প্রোটোকল মেনে চলতি বছরেও অয়োজন হবে পুজোর। করোনা বিধি মেনেই প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন সকলে। যদিও পুজোতে নাইট কার্ফু জারি থাকবে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দুর্গাপুজোর সময় কোভিড পরিস্থিতি কেমন থাকবে, তা বুঝে নিয়েই নাইট কার্ফুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য।