কলকাতা ব্যুরো: পাহাড়ে দুর্গাপুজোর অন্যতম কাণ্ডারী বেঙ্গলি ক্লাবগুলি। দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক, কর্সিয়াংয়ে বিভিন্ন ক্লাবের উদ্যোগে খাওয়া-দাওয়া এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু এবার মহামারীর জেরে বহু পুজো সেসব এতদিনের রীতিনীতি কমিয়ে ফেলেছে। কোথাও চার দিনে নমো নমো করে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে, বাদ গেছে খাওয়া-দাওয়া, আবার কোথাও বাদ যাচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এমনভাবেই এবার পাহাড়ের মানুষ শুধু ধর্মীয় আচার পালন এর মধ্যেই মূলত নিজেদের আটকে রাখছেন দুর্গাপূজায়।

একইভাবে করোনা আবহে এবার দার্জিলিং ম্যালে পুজোতেও কোপ পরেছে। দার্জিলিংয়ের ম্যাল এ এতদিন পুজো হয়েছে ধুমধাম করে ন’দিন ধরে। কিন্তু এবার তা চার দিনেই শেষ করতে হচ্ছে। এমনকি অন্যান্যবার ম্যালের এই পুজোকে কেন্দ্র করে যেমন উৎসবের আয়োজন থাকে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভিড় জমান দর্শকরা। এবং পর্যটকরা সেখানে বসে পাত পেরে ভোগ খান।

২০০৭ সালে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ম্যালে দুর্গা পুজোর আয়োজন করে প্রথম। তারপর থেকে চলছিল নিয়ম মেনে। এই পুজো মূলত দ্বিতীয়ার দিন শুরু হয়, দশমী পর্যন্ত দুর্গাপুজো চলত। কিন্তু এবার করোনার সংক্রমণের আশঙ্কা সেসব নিয়ম আপাতত বন্ধ। পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এবার আর ম্যালে বসে পুজোর প্রসাদ খাওয়া যাবে না। প্রসাদ নিয়ে ফিরে যেতে হবে হোটেল বা বাড়িতে। এককথায় নামমাত্র ভাবেই এবার পুজোর চারদিন ম্যলে থাকবেন দেবী দুর্গা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version