কলকাতা ব্যুরো: সোমবার রাষ্ট্রপতি পদে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আদিবাসী পরম্পরা বজায় রেখে সাঁওতালি শাড়ি পরতে পারেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। উচ্ছ্বাসের সঙ্গে একথা জানিয়েছেন দেশের ভাবী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভ্রাতৃবধূ সুকরি টুডু। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখতে ইতিমধ্যেই তিনি রাজধানী পৌঁছে গিয়েছেন। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন সাঁওতাল রমণীরা ঐতিহ্য ও পরম্পরাবাহী বিশেষ আনন্দ অনুষ্ঠানে যে ধরনের শাড়ি পরেন, ঠিক সেই রকম একটি শাড়ি।

বিজেপির প্রবীণ এক নেতাও জানিয়েছেন, দেশের ১৫-তম রাষ্ট্রপতির শপথানুষ্ঠানে আদিবাসী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ছোঁয়া থাকতে পারে। সোমবার রাইসিনা হিলসের সেন্ট্রাল হলে শপথ নেবেন দ্রৌপদী মুর্মু। তার আগেই এই রাজকীয় অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে রাজধানীতে পা রেখেছেন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা। তাঁদের মধ্যেই একজন হলেন সুকরি টুডু। যিনি খোদ ওডিশার ময়ূরভঞ্জ জেলার রায়রঙ্গপুরের উপরবেড়া গ্রাম থেকে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে এসেছেন দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) ভাই তারিণীসেন টুডু।

সুকরি বলেন, আমি দিদির জন্য সাঁওতালিদের আনন্দানুষ্ঠানে পরার বিশেষ ডিজাইনে তৈরি শাড়ি নিয়ে এসেছি। এটা সাঁওতালিদের পরম্পার প্রতীক। আমি দিদিকে অনুরোধ করব, তিনি যেন শপথ নেওয়ার সময় এই শাড়িটা পরেন। তবে সুকরি এও জানিয়ে দেন, আমি নিশ্চিত নই যে, এই শাড়িটাই দিদি পরতে পারবেন কিনা। কারণ, রাষ্ট্রপতির শপথানুষ্ঠানের পোশাক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি ভবনেরই। তারাই ঠিক করবে, কী পোশাকে তিনি শপথ নেবেন।

শুধু শাড়িই নয়, সুকরি তাঁর বড় ননদের জন্য সাঁওতালি পিঠেও বানিয়ে নিয়ে এসেছেন। তার নাম আরিসা পিঠে। ভাই তারিণীসেন ও ভ্রাতৃবধূ সুকরি ছাড়াও মুর্মুর ব্যাঙ্ক অফিসার মেয়ে ইতিশ্রী এবং জামাই গণেশ হেমব্রমও রাজধানীতে পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁরাও সাক্ষী থাকবেন মায়ের শপথানুষ্ঠানে।

বিজেপির এক নেতা জানিয়েছেন, দ্রৌপদী মুর্মুর পরিবারের ৪ জন সদস্য সেন্ট্রাল হলের অনুষ্ঠানে থাকবেন। বিজু জনতা দলের সভাপতি তথা ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কেরও শপথে থাকার কথা। শনিবারই তিনি চারদিনের দিল্লি সফরে রওনা দিয়েছেন। ময়ূরভঞ্জের ছয় বিধায়ক ছাড়াও প্রজাপতি ব্রহ্মকুমারীর শাখার তিনজন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version